হ্যা এক্সপ্রেসের বাস যখন মান্দালয়ে আমাদের হোটেলের সামনে নামিয়ে দিল, তখন রাত সাড়ে দশটা। আসার পথে বাসের চাকায় গোলযোগ হওয়ায় তা মেরামত করতে একটু দেরি হল। একটু আগেই বাসের পরিচালক ভাঙাভাঙা ইংরেজিতে জানতে চেয়েছিলেন আমাদের হোটেলের নাম, ঠিকানা। মোবাইল ফোনে হোটেলে জানিয়ে দিলেন আমাদের পৌঁছতে দেরি হবে। তারপর হোটেলের সামনে রিসেপশনের লোকের হাতে মালপত্র সমেত আমাদের কার্যত সঁপে দিয়ে বাস নিয়ে চলে গেলেন গন্তব্যের দিকে। এমন আতিথেয়তা আশা করিনি। বাস তার রুট পরিবর্তন করে বিদেশি পর্যটকদের হোটেলে পৌঁছে দিয়ে আসছে, এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। লো
হোটেলের তিন তলায় আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি বেশ বড়। এক দিকের টেবিলে চা, কফি বানানোর ইলেক্ট্রিক কেটলি আর পর্যাপ্ত দুধ, চিনির স্যাশে, কফির প্যাকেট, টি ব্যাগ, পাশের ছোট ঝুড়িতে টফি, ছোট কয়েক প্যাকেট বিস্কুট। মনে পড়ল ডিনারের কথাটা আগে থেকে জানিয়ে রাখলে হত। রাত হয়েছে, দোকানপাট সবই বন্ধ।
জানুয়ারি মাস। কিন্তু সেই তুলনায় এখানে বেশ গরম। ভালো করে মুখ-হাত ধুয়ে, পোশাক বদলে বসতে না বসতে খিদে পেল ভালোই। ইলেক্ট্রিক কেটলিতে জল গরম করে সঙ্গে আনা নুডলস আর ইনস্ট্যান্ট উপমার প্যাকেট খুলে চটজলদি কিছু খাদ্যবস্তু তৈরি করে ফেললাম।
মোবাইলের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙল খুব ভোরে। সূর্য উঠতে তখনও প্রায় ঘণ্টাখানেক বাকি। বড় বড় বাড়ি, হোটেল, পরিচ্ছন্ন ফুটপাত, সবই এখন নিঃঝুম। রাস্তায় গাড়িঘোড়ার আনাগোনাও তেমন শুরু হয়নি। এই সময় আবহাওয়া বেশ মনোরম।
Denne historien er fra September - October 2022-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September - October 2022-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।