পা ইন, ওক, ম্যাপল গাছের সারির মাঝখান দিয়ে পাহাড়ি পাকদণ্ডী রাস্তা। চলেছি ঋষিহাট থেকে মিম। দার্জিলিং জেলার জোড়বাংলো সুখিয়াপোখরিতে মিম চা-বাগানকে কেন্দ্র গড়ে উঠেছে মিম গ্রাম। স্থানীয়রা বলেন মিম বস্তি। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার। অল্প সংখ্যক হোমস্টে আছে। আগে থেকে বলে রাখলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা শিলিগুড়ি স্টেশনে থাকবে হোমস্টের গাড়ি। অথবা খরচ বাঁচাতে চাইলে এন জে পি বা শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতে ঘুম চলে আসা যায়। ঘুম থেকে হোমস্টের গাড়ি নিয়ে যাবে।
পাহাড়ের একটা ঢালে পাইন-ওকের জঙ্গলের মধ্যে লিটল ফরেস্ট হোমস্টে। আমরা দু'দিন সেখানেই থাকব। মিমের প্রকৃতির মতো হোমস্টেটিও বড় সুন্দর! ফুলের বাগানে ঘেরা ছোট-বড় কটেজ। একটা কাঠের আপেলবাগানও আছে। আর কিছু ছোটখাটো সবজি বাগান। বেশ কয়েকটি কিউই গাছকে মাচার আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই হোমস্টের নিজস্ব ডেয়ারিও আছে। গাছগাছালি, নানা ধরনের ফুল, অর্কিড, চার পাশের উন্মুক্ত পরিবেশ, সপার্ষদ কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য আমাদের আটকে দিল হোমস্টের লনে। ব্যাগপত্র রুমে চলে গেলেও ঘরে তখনই গেলাম না। নরম রোদ গায়ে মেখে লনে বসে থাকলাম। চাইতেই চা চলে এল। কানে এল চেনা-অচেনা পাখির ডাক।
হোমস্টের বৃদ্ধ মালিক, তাঁর ছেলে নরবু ও অন্যান্য কর্মচারীরা অতিথিদের পরিষেবা দিতে পরিশ্রম করে চলেছেন। কেউ বাগানে কাজ করছেন, কেউ ঘর গোছাতে ব্যস্ত, কেউ-বা রান্নাঘরে। আমাদের কোনও তাড়া নেই। হোমস্টের চারপাশ, ফুলের বাগানে হেঁটে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ল হোমস্টের পিছনে একটি কাঠের নজরমিনার। নরবু জানালেন, পাখি দেখার জন্য ওটা তৈরি করা হয়েছে। নজরমিনারের ভিতরের সিঁড়ি দিয়ে একদম উপরে উঠে গেলাম। তখন ঠাহর হল কত বড় জায়গা নিয়ে এই হোমস্টে! চোখ গেল দূরে সবুজ গাছের ঘন সারি, আর ঘুমন্ত বুদ্ধের দিকে। দিগন্তবিস্তৃত উদার প্রকৃতিতে আমাদের মন যেন হারিয়ে গিয়েছিল, সম্বিত ফিরল দুপুরের খাবার খাওয়ার ডাকে।
Denne historien er fra April 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra April 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।