চে কপোস্টের সামনে দীর্ঘ লাইন। অল্প দূরে কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে চলে গেছে পিচের রাস্তা। ওপাশে রেললাইন। পাসপোর্টে ছাপ মারা শেষ হলে, এগিয়ে যাই। সীমান্ত পার করেই লেভেল ক্রসিং। কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপর সামনে দিয়ে চলে গেল সবুজ রঙের ট্রেন। জায়গাটার নাম হিলি। দেশভাগের সময় হিলি গ্রামটি পড়ে ভারতের আওতায়। আর রেলস্টেশনটি চলে যায় পূর্ব পাকিস্তানে, পরে বাংলাদেশে।
বালুরঘাট হয়ে হিলিতে এসেছি, এবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলাম। এখান থেকে যাব সোমপুর মহাবিহার। হিলি থেকে সোমপুর মহাবিহারের দূরত্ব ত্রিশ কিলোমিটার, গাড়িতে সময় লাগল পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এক বিশাল প্রাঙ্গণের মধ্যে এই বিহার। বাগান দিয়ে সাজানো প্রাঙ্গণে আছে সাইট মিউজিয়াম, ক্যাফে ও গেস্ট হাউস। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই গেস্ট হাউসে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ গেস্ট হাউসটির দেখভাল করে। চেক-ইন করে চলে এলাম ক্যাফেতে লাঞ্চ করতে। ক্যাফের নাম, হেরিটেজ ক্যাফে। পেশ করা হল বিশুদ্ধ বাংলাদেশি ব্যঞ্জন!
নবম শতাব্দীর সোমপুর বৌদ্ধবিহার, স্থানীয়দের কাছে পাহাড়পুর নামে পরিচিত। পাহাড়পুর নামকরণের একটা কারণ হল, বহু কাল ধরে এই বিশাল বৌদ্ধবিহারটি ২৪ মিটার উঁচু ঢিবির নীচে চাপা পড়ে ছিল। ১৯২৩ সালে পুরো মাত্রায় খননকার্য শুরু হতেই বেরিয়ে পড়ে সেটি।
খননকার্যের সময় বেশ কিছু টেরাকোটার সিল পাওয়া যায়। সেই সিলগুলিতে লেখার পাঠোদ্ধার করে জানা যায় বিহারটির নাম ছিল সোমপুর মহাবিহার। এই লেখাগুলি থেকে আরও জানা যায়, বিহারটি স্থাপিত হয় নবম শতকে, পাল রাজা ধর্মপালের রাজত্বকালে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, সোমপুর মহাবিহার একাদশ শতকে গৌরবের শিখরে পৌঁছয়, এর দুশো বছর পর বিহারটি পরিত্যক্ত হয়। ভরপেট খেয়ে চলে আসি সাইট মিউজিয়াম দেখতে। ছোট সংগ্রহশালা। একটি কেন্দ্রীয় হল ও তার সংলগ্ন তিনটি গ্যালারি। কেন্দ্রীয় হলে রাখা আছে সোমপুর মহাবিহারের একটি মডেল। দু'টি গ্যালারিতে আছে সোমপুর মহাবিহার থেকে সংগৃহীত শিল্পকর্ম, তৃতীয় গ্যালারিতে সংলগ্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা শিল্পবস্তু।
মিজিয়ামের পিছনে আছে একটি ছোট প্রত্নস্থল, এটি সত্যপীর ভিটা নামে পরিচিত।
Denne historien er fra September - October 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September - October 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।