চোখ বেঁধে দাঁড়িয়ে রাগে গজগজ করছে অর্পিতা রায়। সুদীপাদি’কে বলেছিল, “একটু আলগা করে বেঁধো। কষে বেঁধো না।” শোনেনি সুদীপাদি। বলেছিল, “উঁহু! খুব মজা না? আমি চো আলগা করে বাঁধি আর আর উনি তাকাতে তাকাতে গিয়ে, হাঁড়ি ফাটিয়ে দিন! ও সব হবে না। আমাদের চোখ আলগা করে বাঁধা হয়নি। আলগা করে চোখ বাঁধা হলে আমরাও পারতাম।” সুদীপা দত্ত স্বাভাবিকের চেয়েও জোরে বেঁধে দিয়েছে অর্পিতার চোখ। টনটন করছে। খুব হিংসুটে! অর্পিতাকে দেখতে পারে না। অর্পিতা সুন্দরী, শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি। পুরুষের দৃষ্টি আর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। সুদীপা দত্তরা হিংসে করে তাকে। ঠেস দিয়ে কথা বলে। আড়াল হলেই শুরু হয় অর্পিতাকে নিয়ে গসিপ !
স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আজ সকলে মাঠে এসেছে। ম্যাডামদের জন্য একটা খেলা রাখা হয়েছে— ‘হিট দ্য টার্গেট'। চোখ বেঁধে হাঁড়ি ফাটানো। গেম টিচার প্রদীপ ঘোষ এসে দিদিমণিদের বলল, “আপনাদের জন্য একটা ইভেন্ট রেখেছি। হিট দ্য টার্গেট, খুব মজার খেলা। অনেকেই জানেন এই খেলাটা। পঞ্চাশ মিটার হেঁটে গিয়ে, সামনে রাখা মাটির হাঁড়ি ভাঙতে হবে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে।”
রিচা চট্টোপাধ্যায় বলল, “খুব সহজ! সকলে পেরে যাবে।” প্রদীপ ঘোষ হেসে বললেন, “সহজই তো। হাতে শক্ত লাঠি থাকবে। মাটির পলকা হাঁড়ি। এক ঘায়েই ভেঙে যাবে। তবে খেলা শুরুর আগে, যে মারবে তার চোখ বেঁধে দেওয়া হবে। মানে তাকে গান্ধারী হয়ে তবে টার্গেটে হিট করতে হবে, হাঁড়ি ফাটাতে হবে। এবং সেটা একবারে। খুব সহজ।” রিচা চট্টোপাধ্যায় বলল, “চোখ বাঁধবেন কেন আবার? চোখ বাঁধলে আমি এক পা-ও নড়তে পারব না। পড়ে যাব।” পিছনে দাঁড়িয়ে পুষ্পিতা স্যান্যাল স্বপ্না বিশ্বাসকে গলা নিচু করে বলল, “ন্যাকা! চোখ বাঁধলে আমি হাঁটতে পারি না! খেলতে এসেছিস কেন? বাড়ি চলে যা!”
স্বপ্না বলল, “অথচ ও-ই প্রদীপদা'কে বলে বলে খেলাটা ঢোকাল। এটা ভাবেনি, চোখ খুলে হাঁড়ি ফাটানো, এত সহজ খেলা হয় কখনও! আমার তো দারুণ এক্সাইটিং লাগছে...” পুষ্পিতা বলল, “তোমার অল্প বয়স, তোমার কথা আলাদা । আমাদের বয়স হয়েছে তো, আমাদের দ্বারা আর হবে না। তা ছাড়া ক'জনকে পাবে তুমি? কুইন ভিক্টোরিয়াকে দ্যাখো! এদিকে খেলা চলছে, আর উনি ওদিকে অ্যাডমায়াররদের ফোন নিতেই ব্যস্ত। ওদিকে একজন সেলফি...”
Denne historien er fra August 15, 2024-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 15, 2024-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
কাজের ক্ষেত্রে সেফ স্পেস? শরীর বাঁচলে তবে মন!
দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। নীরব থাকার দিন শেষ। শরীরের উপর এসে পড়া আক্রমণের দ্রুত প্রতিকার চাই। কলম ধরলেন কবি যশোধরা রায়চৌধুরী।
প্রসঙ্গ: আরজি কর, জন-জাগরণ ও নারী-নিরাপত্তা
মায়ের চোখের জল, সন্তানের যন্ত্রণাময় মৃত্যু, নারীত্বের অস্তিত্ব সঙ্কট। আরজি কর কাণ্ড তুলে আনছে কিছু নির্মম সামাজিক সত্য। লিখেছেন পায়েল সেনগুপ্ত।
তেল দিয়ে হেলদি রান্না
তেল দিয়ে রান্না মানেই খারাপ? একেবারেই না! রাইস ব্র্যান, অলিভ, নারকেল এমনকি আমাদের সর্ষের তেল দিয়েও একগুচ্ছ স্বাস্থ্যকর রান্না করলেন হোমশেফ রূপালী রায়চৌধুরী। স্বাদ নিলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
যে ছবিতে আমার মেকআপ নিয়ে চর্চা হবে, সেই ছবিই করব। নয়তো বাড়িতে বসে থাকব
প্রায় ২৮ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ার মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রস্থেটিক্স মেকআপের জনক বলতে গেল তিনিই। কাজে ডুবে থাকা মানুষটি সদ্য পেলেন জাতীয় পুরস্কার। কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।
মানি প্লান্টের যত্নে...
চিরচেনা মানি প্লান্ট। অনেকে একে 'গোল্ডেন পোথস'ও বলেন। জেনে নিন তার যত্নের খুঁটিনাটি। লিখছেন পৃথা বসু।
ঘরজামাই
কথা শেষ হতেই নিলয় মোবাইলটা টেবিলে রেখে বিছানায় চিতপটাং। মাথার উপর বনবন করে ফ্যান ঘুরছে। সে দিকেই স্থির দৃষ্টি। মেয়েটার কথাগুলোই ভাবছে সে। কলেজের লেকচারার হয়েও কে এমন প্রগলভ্ হয়? একটু যেন দ্বিধা। যদি তার বাক্য সত্যি হয় তা হলে কী এগোনো উচিত?
স্বাদ-এ শেফ
প্যান কেক, ওয়াফল বা এক কাপ কফি, বর্ষার মরসুমে মন ভাল করতে এর চেয়ে ভাল আয়োজন আর কী-ই বা হতে পারে! দ্য পিকো কাফে-এর কর্ণধার প্রতীক দিদওয়ানিয়া সাজিয়ে দিলেন তেমনই চারটে মজাদার পদ! ট্রাই করুন বাড়িতে....
বাটার বেসিকস
ফ্লেভারড বাটার কী ভাবে বানাবেন? নানা পদে ব্যবহার করবেন কেমন করে?
বঙ্গের শাড়ি-ঐতিহ্য
বঙ্গনারীর সৌন্দর্য এবং শাড়ি যেন একে অন্যের পরিপূরক। বাংলার তাঁত, সুতি, বিষ্ণুপুরী ও মুর্শিদাবাদ সিল্ক, তসর, জামদানি... বাংলার শাড়ি ঐতিহ্যের সাতকাহন ধরা রইল সানন্দার পাতায়।
প্রাদেশিক শাড়ির কথকতা
তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা—দক্ষিণ থেকে উত্তর, পূর্ব থেকে পশ্চিম, এ বারের সানন্দার পাতায় রইল ভারতের নানা প্রদেশের শাড়ির ফ্যাশন ফাইল।