• আমার জন্ম ১৯৬০-এ। আমার জন্মের পরে উত্তমকুমারের হাত ধরে বাবার ইন্ডাস্ট্রিতে আসা। তখন ১৯৬৫ সাল। আমাদের ব্যবসায় মন্দা চলছে। একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেল ব্যবসাটা। তখন ‘জীবন মৃত্যু' ছবি করবেন উত্তমকুমার। কয়েক বছরের পুঁজি বাজি রেখে সেই ছবি প্রযোজনা করলেন আমার বাবা মন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জীবন মৃত্যু' প্রবল হিট! বাবা যেন ফের পায়ের তলার মাটি ফিরে পেলেন। আমার ভালো মনে আছে, তখনকার দিনে হিট ছবি বেশ কয়েকবার মুক্তি পেত। আমার পৈতের সময় বাবা আবার রি-রিলিজ করলেন 'জীবন মৃত্যু'। ফের হিট! সেই রি-রিলিজের টাকাতেই আমার পৈতে হয়েছিল। শুধু আমার পরিবার নয়, উত্তমকুমারের জন্য সেসময় বহু পরিবার আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠেছে। এমনকী, এখনও উত্তমকুমার বাঙালির কাছে সবচেয়ে বড় নস্টালজিয়া। বহু পরিবার ও সংস্থাকে এখনও উনি চালান।
আমার পৈতে নিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। তখন ১৯৭৫ সাল। ততদিনে বাবা ও উত্তমকুমার একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। উত্তম জেঠুর কথায় অভিনয়ও করেছেন বাবা। আমার পৈতেয় তিনি আসবেন এ তো জানা কথা! বাবা যথারীতি কার্ড দিয়ে নেমন্তন্ন করতে গেলেন উত্তমকুমারকে। কিন্তু বাবা খুব দূরদর্শী ছিলেন। নেমন্তন্ন করতে গিয়ে উত্তমকুমারকে বললেন, 'দাদা, আমার তো মধ্যবিত্ত পাড়া তালতলা ! আমার ছেলের পৈতেয় আমি তোমাকে নেমন্তন্ন করছি ঠিকই, কিন্তু তুমি প্লিজ আমার মধ্যবিত্ত পাড়ায় যেও না! তুমি দূর থেকেই আমার ছেলেকে আশীর্বাদ করবে। আমি খাবারদাবার সব তোমাকে পাঠিয়ে দেব আলাদা করে কিন্তু তুমি যদি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হও পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে, আমি সামলাতে পারব না! আমার কিছু আত্মীয় তাতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন যে উত্তমকুমার শেষমেশ আসবেন না! কিন্তু পরে মনে হয়েছিল, ভাগ্যিস, বাবা জেঠুকে আসতে বারণ করেছিলেন!
Denne historien er fra September 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।