• বিকেলবেলা। নিউ থিয়েটার্স এক নম্বরে ‘ওগো বধূ সুন্দরী'-র শ্যুটিং হচ্ছে। সেদিন উত্তমকাকুর সঙ্গে আমার বেশ কয়েকটা সিন রয়েছে। সেই মুহূর্তে আমার শ্যুটিং ছিল না, আমি শিঙাড়া আর মুড়ি আনালাম। তখন উত্তমকাকুর শট চলছে। উত্তমকাকু ফ্লোরে ঢোকার আগে ঠিক লক্ষ করেছেন, আমি দোকান থেকে কিছু আনিয়েছি। দূর থেকে বলছেন, ‘কী রে .... ? কী রে...?' বললাম, “শিঙাড়া আর মুড়ি।’ উত্তমকাকু বললেন, 'এই আমার জন্য রাখিস কিন্তু। আলাদা করে একটু গুছিয়ে রাখ। আমি শট দিয়ে আসছি।'
আমাদের মধ্যে এইরকমই সম্পর্ক ছিল। আমার প্রতি অত্যন্ত স্নেহময় ছিলেন তিনি। শুধু আমার প্রতিই বা বলব কেন? ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। যাইহোক, সেদিন শিঙাড়া মুড়ি আর চা বেশ জমিয়ে খাওয়া হল। স্টুডিওরই এক জায়গায় গাছের তলায় একটা বেঞ্চি পাতা থাকত। উত্তমদা আমাকে বললেন, 'এই চল গাছের ছায়ায় গিয়ে একটু বসি।” উত্তমকাকু বললেন, ‘অনেক পার্সোনাল কথাবার্তা তো থাকে। সব কথা কি আর মেকআপ রুমে বসে বলা যায়? তাই তোকে ডেকে নিয়ে এলাম।'
আর একটা কথাও বলি। উত্তমকাকুর কাছ থেকে দারুণ কমপ্লিমেন্ট পেয়েছিলাম। 'ওগো বধূ সুন্দরী'র শ্যুটিং চলছিল। পরিচালক সলিল দত্ত আমাকে একটা সিন অনেকক্ষণ ধরে বোঝাচ্ছিলেন। তখন উত্তমকাকু আমার সামনে সলিলদাকে বলেছিলেন, “ওকে আর বোঝাতে হবে না। ও খুব ভালো অভিনেত্রী। ও ভালো করেই জানে কী করতে হবে।'
উত্তমকাকুর মধ্যে দয়ার ভাবটা ছিল চিরকাল। কেউ বিপদে পড়লেই পাশে দাঁড়াতেন। উত্তমকাকুকে সবচেয়ে ভালো জানতেন বুড়োকাকু (তরুণকুমার)। উনিও আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তমকুমারের অবদান কী? ওঁকে বাংলা ছবির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়ক অনায়াসেই বলা যায়। তবে তিনি পরে নায়কের ভূমিকা থেকে সরে এসে যে চরিত্রগুলো করেছিলেন, সেগুলো আরও ইন্টারেস্টিং। আরও চ্যালেঞ্জিং বইকি! প্রমাণ করেছিলেন কেন তিনি এত বড় অভিনেতা। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ওঁকে এক সুউচ্চ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। আসলে উত্তমকাকু ভার্সেটাইল ছিলেন বলেই এরকম অসাধারণ পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছিলেন।
Denne historien er fra September 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।