যারা ‘মেরা নাম জোকার' ছবিটা দেখেছেন, তাঁদের হয়তো এখনও মনে আছে সেই দৃশ্যটার কথা। এক রেসিডেনশিয়াল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষিকা মেরি বেড়াতে বেরিয়েছেন। কখনও নদীর ধার দিয়ে, কখনও রেল ব্রিজ টপকে, কখনও ধানের খেতের পাশ দিয়ে, আবার কখনও বালিয়াড়ি পেরিয়ে এগিয়ে যায় তারা। এই বালিয়াড়ির প্রসঙ্গেই বলছি সূর্যাস্তের সময় উটের পিঠে চড়ে মেরি এবং তাঁর ছাত্ররা যেতে থাকে। অনেকটা পিঁপড়ের সারির মতো উটগুলো সিল্যুয়েটে নীচ থেকে উপরের দিকে এগিয়ে যায়। এই বিশেষ দৃশ্যটা সম্ভবত মিনিট দুই তিনেকের। এক্সকারশন চলাকালীন আশা ভোসলের একটা গান মেরির লিপে ছিল— “তিতর কে দো আগে তিতর... বোলো কিতনে তিতর...।' সমস্ত শ্যুটিং হয়ে গেলেও সূর্যাস্তের ওই দৃশ্যটা কিছুতেই চিত্রায়িত করতে পারছিলেন না রাজ কাপুর। আমি করেছিলাম মেরির চরিত্রটা। আর রাজজির ছেলে চিন্টু (ঋষি কাপুর) ছিল একটি ছাত্র। সে আবার মাউথ অর্গান বাজায়। সূর্যাস্তের দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দি করার জন্য রাজজি বিশাল বড় এক জেনারেটর আর ইউনিটের বহু কলাকুশলী নিয়ে প্রায় ১৪ দিন ধরে অপেক্ষা করেছিলেন ওই জায়গায়। সকলে ঠায় বসেছিলেন। গানটার শেষে টান-এর অংশ তোলার জন্য। ক্যামেরা লাইট সব তৈরি ছিল। অবশেষে শটটা উনি নিতে পেরেছিলেন। দু'একটা শটের জন্য এভাবে এতদিন অপেক্ষা করা, ভাবা যায় না। সিনেমার ব্যাপারে রাজজির প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে তিনি ছবির কথাই ভাবতেন সবসময়। চলচ্চিত্র স্রষ্টা হিসেবে যে দু'জনকে আমি শ্রদ্ধা করি, তাঁদের একজন হলেন মানিকদা অর্থাৎ সত্যজিৎ রায় এবং অন্যজন হলেন রাজ কাপুর। মানিকদার ‘অরণ্যের দিনরাত্রি'তে সাঁওতালি মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম আমি। আর ‘মেরা নাম জোকার'-এর অফারটা যখন পেলাম, খুশি হয়েছিলাম। কারণ, রাজজির ছবিতে অভিনয় করব, এ কোনওদিন কল্পনা করতে পারিনি। একটা বোল্ড সিন ছিল, স্নানের দৃশ্য। যেটা ছবিতে চিন্টু পর্যবেক্ষণ করছে। এরকম দৃশ্যে আমাকে যখন অভিনয় করতে বলা হল, প্রথমটায় আমি একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তার কারণ সেই সময় আমি হিন্দি ছবির নায়িকা হিসেবে কাজকর্ম করছি। এতে আমার অভিনয়ের জগতে একটা বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে যা আমার কেরিয়ারের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আর হয়েওছিল ঠিক তাই। বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, দৃশ্যটা নিয়ে।
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।