
লকাতা থেকে আকাশপথে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছতে দু'ঘণ্টা লাগল। ছিমছাম, সুন্দর শিলং এয়ারপোর্ট সবুজ পাহাড়বেষ্টিত। সবচেয়ে বড় কথা একদমই ভিড় নেই। গাড়ি অপেক্ষমাণ ছিল বাইরে। বাঙালি চালক। গাড়ি বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে রওনা হল শহরের দিকে। পরিষ্কার আকাশ, সুন্দর রোদ উঠেছে, বেশ উপভোগ্য ঠান্ডা। ধুলোধোঁয়াহীন বিশুদ্ধ বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছে।
শহরে প্রবেশের মুখে, বিমান অবতরণের সময় আকাশ থেকে দেখা সবুজে ঘেরা নীল জলরাশি, উমিয়ম লেক। স্থানীয় ভাষায় বড়াপানি। উমিয়ম নদীর জলে বাঁধ দিয়ে এই লেক তৈরি হয়েছে। লেক ঘিরে অনেক রিসর্ট। লেকের জলে নানা ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা। দুপুরটা উমিয়ম লেকেই কাটল। কখনও নৌকোয় লেকের জলে ভেসে, কখনও গাছগাছালিতে ঘেরা পথ ধরে একটানা হেঁটে, কখনও ওয়াচটাওয়ার থেকে দিগন্তব্যাপী জলরাশি দেখে, প্রচুর ছবি তুলে। এরই মধ্যে মেঘের দল ফিরে এল নিজের ঠিকানায়, সঙ্গে ঠান্ডা কনকনে হাওয়া। দুপুর তিনটের সময় মনে হল সন্ধে ছ'টা।
চলে এলাম ওয়ার্ড লেকে। টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়, প্লাস্টিকের কোনও জিনিস সঙ্গে থাকলে চলবে না। রংবেরঙের ফুলে সাজানো এই পার্ক, গোটা নভেম্বর মাস জুড়ে চেরি ফুলে ভরে থাকে। মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এখানে চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত হয়।
ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে উত্তুরে হাওয়া। পার্কে ঘুরে একটা ক্যাফেতে কিছু সময় কাটিয়ে ক্যাথলিক ক্যাথিড্রালে এলাম। দূরের পাহাড় তখন কালো মেঘে ঢেকে আছে, ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যাচ্ছে, থেকে থেকে ভেসে আসছে মেঘের গর্জন।
শহরের সবথেকে জমজমাট এলাকা পুলিশবাজারে এলাম। আলো-ঝলমলে উৎসবের মেজাজ। সেই আনন্দের স্রোতে আমরাও কিছুক্ষণ ভেসে গেলাম।
খাসি, জয়ন্তিয়া আর গারো পাহাড়বেষ্টিত মেঘালয় অসংখ্য জলপ্রপাত, স্বচ্ছ নদী, হ্রদ, প্রাকৃতিক গুহা, রুট ব্রিজ সহ প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। তাছাড়া মেঘালয় তো মেঘের বাসা। সারা বছর বৃষ্টি হচ্ছে। চেরাপুঞ্জি আর মওসিনরামে বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি।
Dit verhaal komt uit de March 2025 editie van Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee ? Inloggen
Dit verhaal komt uit de March 2025 editie van Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee? Inloggen

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।