
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে জাহাজে নর্থ চ্যানেল পেরিয়ে পৌঁছলাম ব্রিটেনের নর্দান আয়ারল্যান্ড প্রদেশের রাজধানী বেলফাস্ট শহরে। সময়টা গত বছরের মে মাস। মোলায়েম ঠান্ডার আমেজ মাখা গ্রীষ্ম। জলপথে সাগর পেরতে পাক্কা দু'ঘণ্টা সময় লাগল।
নামে দেখতে এসেছি আয়ারল্যান্ড দেশটিকে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই দেশটি আদতে ইউরোপ মহাদেশের উত্তরপশ্চিমে এক বড় দ্বীপ। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয়। আয়ারল্যান্ডের পূর্ব ভাগে নর্থ চ্যানেল, আইরিশ সাগর, সেন্ট জর্জ চ্যানেল, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। দ্বীপরাষ্ট্রের সৈকতের দৈর্ঘ্যই প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার। পরদিন বেলফাস্ট থেকে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন অভিমুখে চললাম। এক ঘণ্টায় এসে গেলাম গ্রেট ব্রিটেন আর আয়ারল্যান্ডের সীমান্তে। পাসপোর্ট চেকিং হল না। ডাবলিনে প্রবেশের মুখে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পেরতে হল। বেলফাস্ট থেকে ডাবলিন— এই ১৭০ কিলোমিটার আসতে দুপুর গড়িয়ে গেল। আইরিশ সাগরের তীরে গড়ে উঠেছে ডাবলিন শহর। শহরটাকে দু'ভাগে ভাগ করেছে লিফি নদী। অনেকগুলি সেতু রয়েছে এই নদীর উপর। শহরের তকতকে রাস্তায় ট্রাম আর দোতলা বাস চলছে। ট্রেন ছুটছে নানা দিকে। পর্যটক বোঝাই হুডখোলা রঙিন দোতলা বাসগুলো ব্যস্ত হয়ে ঘোরাঘুরি করছে। রাস্তার দু'পাশে প্রচুর দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, পাব, ক্যাফে। লাগোয়া ফুটপাথে সাজানো ফুলের বাগান। বাস থেকে নেমে স্থানীয় গাইড হিউয়ের সঙ্গে শুরু করলাম ওয়াকিং ট্যুর। ঘণ্টাদুয়েকে হেঁটে শহরদর্শন। ডাবলিন আয়ারল্যান্ডের সাংস্কৃতিক শহর। বিশ্রুত লেখক অস্কার ওয়াইল্ড, জেমস জয়েস, কবি ইয়েটসের বাসস্থান ছিল এ শহরে। পুরনো শহরটা সিটি সেন্টারের কাছে। গ্র্যান্ড ক্যানেলের কাছে উঠেছে আধুনিক সব ইমারত। পুরনো শহরে আজও অক্ষত রয়েছে অষ্টাদশ শতকের জর্জিয়ান স্থাপত্য।
প্রথমেই এলাম দেশের বৃহত্তম চার্চ, ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত সেন্ট প্যাট্রিক চার্চে। বিরাট এক সাজানো বাগানের মাঝখানে গথিক স্থাপত্য । ভেতরটাও দৃষ্টিনন্দন। নিয়মিত প্রার্থনা হয়। ক্রাইস্ট চার্চ ক্যাথিড্রালটিও দেখার মতো। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম ডাবলিন ক্যাসলের সামনে। ইংরেজ আমলে এই দুর্গ থেকেই এক সময় দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হত। বর্তমানে এটির একাংশে
Dit verhaal komt uit de March 2025 editie van Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee ? Inloggen
Dit verhaal komt uit de March 2025 editie van Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee? Inloggen

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।