বা "ড়ির একতলায় হাঁটুর কাছে জল। সপসপে জামা-প্যান্ট, ভেজা মাথা নিয়ে সে উপরে তাকাল। সন্ধে হয়নি, কিন্তু আকাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। পিছনে ইরিগেশনের একজন স্টাফ আসছিল। ভেজা লুঙ্গি গেঞ্জিতে সে-ও কাঁপছে।
হাতের লন্ঠন থেকে কোনও আলো বেরোচ্ছে না। তুলে ধরে বলল, “উপরে উঠে যান স্যর। টঙে একটা ঘর আছে। সেইটাতে বসে থাকেন। নামবেন না। দলেই ঘাই ব্রিচ হয়ে গেছে। জল বাড়ছে।” লোকটার হয়তো কাছেই বাড়ি। চলে যেতে-যেতে বলল, “কালো আসবে। বলছি ওকে।” কথাগুলো লোকটার মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছড়িয়ে দিল হাওয়া। কালো কে? টঙের ঘরটায় উঠতেই কাচের একটা শার্সি ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে গেল। বাতাসের বেগ এক ঘণ্টার মধ্যে এত বেড়ে গেছে, ভাবা যায়নি। ভাঙা কাচের মধ্য দিয়ে বর্শার ফলার মতো হাওয়া ছুটে এসে বিঁধছে। দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও থামানো যাচ্ছে না। যে-দিকে কাচ ভাঙেনি, সেদিকে বাতাসের শিস প্রখর হয়ে উঠেছে। চিৎকার করছে বাতাস। কেন, কেন এত দ্রোহ মানুষের প্রতি? কী করেছি আমরা তোমাদের?
তক্তপোশের উপর একটা ময়লা গদি। চাদর-টাদর কিছু থাকবে ভাবাই বোকামি। ভিজে জামাকাপড়ে বসলে গদিটাও ভিজবে। তাই করতে হবে। শুকনো কাপড় কে দেবে তাকে? এক কাপ
চা করার মতো মানুষ নেই ধারেকাছে। ক্যানভাস ব্যাগটা জিপের ভেতর থেকে গেছে। আর জিপটা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে রাস্তার ধারের একটা উপড়ে পড়ে থাকা মরা গাছে। গাছটার শিকড় ঢিলে হয়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই অনেকদিন থেকে, এই কার্তিকের বৃষ্টিতে মাটি আলগা হতেই উল্টে গেছে। মরে গেছে গাছটা কিন্তু কাউকে বলেনি। জিপটা শব্দ করে ধাক্কা খেল, পিন্টু বলে যে-ছেলেটা চালাচ্ছিল সে অজ্ঞান হয়ে গেল। সে আর ছ'সাতজন গাঁওলী প্যাসেঞ্জার হুড়মুড়িয়ে নেমে হাঁটা দিল। বৃষ্টি আর বাতাস যেন তাদের ধরে ফেলবে পিছনে তাকালে। পিন্টু অজ্ঞান অবস্থাতেই ভিজতে লাগল, তারা গা করল না।
This story is from the April 17, 2023 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 17, 2023 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।