“আজ আবার ডিমের ঝোল? বলি, ঘরে বসে করোটা কী? একটু মাছ বা তরকারি রান্না করতেও পারো না? তোমার এ সব ছাইপাঁশ রান্না খেয়ে খেয়ে তো আমার কোলেস্টেরল বেড়ে হার্টের অসুখ হবে দেখছি। মা ঠিকই বলতেন, এই জন্যই নিজেদের পাল্টি ঘরের মেয়ে বিয়ে করতে হয়।” একটানা কথাগুলো বলে থালাটা ঠেলে উঠে পড়ে পীযূষ। সীতার চোখ দিয়ে বড় বড় মুক্তোর দানার মতো জলবিন্দু গড়িয়ে পড়ছে দেখেও পাত্তা দেয় না। ফ্রিজ খুলে একটা মিষ্টি খেয়ে ঢকঢক করে কিছুটা জল খায় সে। তার পর বেডরুমে ঢুকে দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দেয়।
কয়েকটা মুহূর্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সীতা। সে নিজেও এ সব খাবার খেতে পারে না। সে তো চায় নিজেকে পীযূষের মনের মতো করে গড়ে তুলতে। পীযূষের পছন্দ-অপছন্দর খেয়াল রাখতে চায় সে, কিন্তু একটু সময় দরকার। পাপা বলতেন, একটা গাছকে এক জায়গা থেকে তুলে অন্য জায়গায়, অন্য আবহাওয়ায় বসিয়ে দিলেই সে সব সময় বাঁচে না। একটু যত্ন প্রয়োজন। বিয়ের আগে পীযূষ কিন্তু এমন ছিল না, ওর হাতে ধোসা, উত্তপম, পোহা খেয়ে কতই না প্রশংসা করত সবাই। চিকেন ৬৫ খেয়ে বলেছিল, শুধু এই খাবারটাই সারাটা জীবন খেয়ে থাকতে পারবে। বিয়ের পর প্রথম মাসটা এর-ওর বাড়ি নিমন্ত্রণ
খেয়ে আর ঘুরে-ফিরেই কেটেছিল। পরের মাসে হেঁশেলে ঢুকেছিল সীতা। শাশুড়িমা বলেছিলেন, “আমার ছেলেটা সব খায়, যা দেবে সোনামুখ করে খেয়ে নেবে। তবে ও ভালবাসে মাছের পাতলা ঝোল, কটকটে আলু ভাজা, পোস্ত বড়া, কলমি শাক, পাঁঠার মাংস। জলখাবারে একটু সাদা আলুর চচ্চড়ি দিয়ে ফুলকো লুচি আর মিষ্টি দিলেই হবে।”
মাথাটা কেমন বোঁ বোঁ করে চক্কর কাটছিল। এ সব তো সে ঠিক পারে না... কে শেখাবে? রাতে ওর শরীরের প্রতিটা অংশ অনাবৃত করতে করতে পীযূষ বলেছিল, “ও সব ধীরে ধীরে ইউটিউব দেখে শিখে নিলেই হবে। আপাতত আমি অন্য কিছু চাখতে ইচ্ছুক।”
This story is from the November 17, 2023 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the November 17, 2023 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।