নিবকে সবদিকে নজর রাখতে হয়। তাই অনেক জিনিস খুঁটিয়ে দেখার উপায় থাকে না। সেই কাজ করে দেয় এক কর্মচারী। তবে কাজে দক্ষ হলেও সে জানে না কোন পরিপ্রেক্ষিতে কাজটি করার কথা বলা হয়েছে। সেই খবর জানেন মনিব। অধীনস্থ কর্মচারীটির কাছে যে-ছবিটি রয়েছে সেটা আংশিক এবং খণ্ডিত। আরও বড় কথা হল, নিজের অক্ষমতা সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল নয়। অর্থাৎ, তার বুদ্ধি আছে, কিন্তু বিবেচনার ক্ষমতা নেই। সে মনে করে মনিবের তুলনায় সে বেশি বোঝে। ভাবে, তাকে ছাড়া মনিব এক পা-ও চলতে অক্ষম। সুতরাং মনিবকে সে কিছুটা উপেক্ষাই করে। এই উপেক্ষা এতই সাংঘাতিক যে, ইয়ান ম্যাক্গিলক্রিস্ট দ্য মাস্টার অ্যান্ড দি এমিসারি: দ্য ডিভাইডেড ব্রেন অ্যান্ড দ্য মেকিং অফ দ্য ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড বইটির লেখক বলছেন, আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা এই কর্মচারীর বাড়াবাড়িতেই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
চায়ের কাপে তুফান তোলার জন্য এই একটি মন্তব্যই যথেষ্ট! পাঠকের ধ্যানধারণার ভিত নড়িয়ে দিয়েছে এই বইয়ের বক্তব্য। বলা হয়নি, পেশায় ম্যাক্গিলক্রিস্ট একজন স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তবে চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্র হওয়ার আগে তিনি অক্সফোর্ডে সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। তখন থেকেই মন এবং শরীরের সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি। রোমাঞ্চকর কিছু পড়লে আমাদের গায়ে কাঁটা দেয়, আমরা জানি। কিন্তু এর কারণ এখনও অজানা। মন এবং শরীরের সম্পর্কটা আরও খতিয়ে দেখার জন্য তিনি ভর্তি হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজে। এমন এক লেখকের বইতে যে শুধু বিজ্ঞানের কথা থাকবে না, তা বোঝাই যায়। এই বইতে বিজ্ঞান থেকে শুরু করে ইতিহাসের পাতা ছুঁয়ে দর্শনের জানালায় উঁকি দিয়েছেন লেখক। তাঁর চিকিৎসক-দার্শনিক চোখে যা ধরা পড়েছে তা বোঝানোর জন্যই মনিব-কর্মচারীর উপমা ব্যবহার করেছেন তিনি।
উপমায় মনিব এবং কর্মচারী বলতে মস্তিষ্কের দুই অংশ বোঝানো হয়েছে। উপমাটি তাঁর নিজস্ব হলেও মস্তিষ্কের দুই অংশের কথা কিন্তু জানা গিয়েছিল প্রায় ষাট বছর আগের
This story is from the January 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the January 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।