হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান ও সুর তো বটেই, এমনকি তাঁর হাতাগোটানো বাংলা শার্ট ও ধুতি পরিহিত চেহারাটিও যে বঙ্গজীবনের অঙ্গের সঙ্গে মিশে আছে, এ কথা আশা করি সকলেই মানবেন। আবার এ-হেন হেমন্ত যে প্রথম জীবনে গানের চেয়ে সাহিত্যকর্মের দিকে বেশি ঝুঁকতে চেয়েছিলেন, তা-ও আমাদের অজানা নয়। কারণ, এ কথা তিনি নিজেই অনেক জায়গায় লিখেছেন ও বলেছেন। শুরু থেকেই গান তাঁর কণ্ঠে সাবলীল ভাবে খেললেও, সেই সময়ে তাঁর বন্ধুবান্ধবের পরিমণ্ডলটি ছিল সাহিত্য-ঘেঁষা। পরবর্তীকালের বিখ্যাত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, গদ্যলেখক রমাকৃষ্ণ মৈত্র (পরে সে ভাবে আর লেখালিখি করেননি) প্রমুখ ছিলেন ইশকুলের বন্ধু। পরে সন্তোষকুমার ঘোষ ও আরও এরকম কয়েকজন যুক্ত হয়েছিলেন তাঁর বন্ধুমহলে। ফলে, এঁদের প্রভাবে স্বভাবতই হেমন্তর সাহিত্য-পাগলামি বেড়ে উঠেছিল। নিয়মিত লিখতেন। ওই সময় তাঁর লেখা ছাপাও হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। দেশ পত্রিকাতেও তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু হেমন্তকে কলমের নেশা থেকে পুরোপুরি ভাবে সুরের নেশার দিকে ঠেলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন বন্ধু সুভাষ। প্রসঙ্গত, ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতার ময়দান জুড়ে হওয়া বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনে একদিন এক ঘণ্টা ধরে গানে, কবিতায়, আড্ডায় মাতিয়েছিলেন দুই বন্ধু, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর সাহিত্য থেকে গানের দিকে যাওয়ার ব্যাপারে হেমন্ত জানিয়েছিলেন। যে, সুভাষ তাঁকে বলেছিলেন, তিনি যদি সাহিত্যে থাকেন, তা হলে হয়তো মোটামুটি একটা জায়গায় পৌঁছোতে পারবেন, কিন্তু গানের জগতে গেলে হবেন সেরা। এই কথা তখন হেমন্তকে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এরকম অমোঘ ভবিষ্যদ্বাণী বোধহয় খুব কমই হয়। আমরা জানি সুভাষ মুখোপাধ্যায়েরই উদ্যোগে হেমন্ত ১৯৩৫-এ গেয়েছিলেন রেডিয়োতে এবং এর রেশ ধরে, দু'-তিন বছর বাদে রেকর্ডে। এ ভাবেই, সুরের পথে হাঁটা শুরু হয়েছিল। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের।
This story is from the April 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।