থিয়েটার কি কখনও দর্শনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে? থিয়েটার বিষয়টাই যে আদতে দর্শন, তা নিয়ে কোনও সংশয় হয়তো-বা নেই। কিন্তু গ্রিক ফিলোসোফিয়া (“জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা') অনুপ্রাণিত যে-বীক্ষণ, সেই প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বসত্তার প্রকৃতিকে অনুধাবন তথা বিশ্লেষণ করতে চেয়ে এসেছে—সেই ‘দর্শন’ (যা মূলত আগ্ৰহী মানব অস্তিত্ব, চেতনা ও মূল্যবোধের ক্রমপ্রসারিত জগৎ নিয়ে)-কে যথাযথভাবে প্রতিস্থাপিত করতে পারে কি থিয়েটার?
কিং লিয়ার থেকে ওয়েটিং ফর গোডো অবধি অনেকানেক নাট্যাভিনয়ই ইতিহাসের বিভিন্ন সময়বিন্দুতে প্রায় সে কাজটাই করে এসেছে। কিন্তু এমন কোনও প্রদর্শনের কথা এই পর্যালোচকের অন্তত জানা ছিল না, যেখানে অভিনীত নাট্যের প্রায় সমগ্র উপস্থাপনাটিকেই একটা নিপুণ ছলনা (কিংবা অছিলা) বলে মনে হতে পারে, যেখানে নাট্যের মায়াদর্পণে চরিত্রের পরিবর্তে দর্শকমানসে ভেসে ওঠে অনন্ত নক্ষত্ররাজি (‘শূন্যে অনন্ত গগনে / ধ্যানমগ্ন মহাশান্তি; নক্ষত্রমণ্ডলী/ সারি সারি বসিয়াছে স্তব্ধ কুতূহলী/ নিঃশব্দ শিষ্যের মতো।” – ‘ব্রাহ্মণ’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) — সৃষ্টিরহস্যকে ভেদ করতে বদ্ধপরিকর নাট্যদর্শকও ততক্ষণে পরিবর্তিত ‘দার্শনিক'-এ।
This story is from the August 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the August 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।