মানতে দ্বিধা নেই, আমি বুদ্ধিজীবী। বাঙালি বুদ্ধিজীবী। তবে অনুরোধ, সামাজিক বা রাজনৈতিক অস্থিতির সময় আমাকে কেউ বুদ্ধিজীবী বলে ডাকবেন না। ওই সময় আমায় বুদ্ধিজীবী বললেই আমার মাথায় প্রচণ্ড এক ভার চেপে বসে। ক্রোধ, বিরক্তি জন্মায়। আমি রিয়্যাক্ট করে ফেলি এই বলে যে, বুদ্ধিজীবী মানেটা কী! আপনিও তো বুদ্ধিজীবী। রাস্তাঘাটে অন্যান্য অসংখ্য মানুষ যাঁরা হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন, কাজেকর্মে নিয়োজিত আছেন, তাঁরাও তো সকলে বুদ্ধিজীবী। আমি আলাদা কেন!
আপনি হয়তো তখনই বুঝতে পারেন, এ আমার ডিফেন্স মেকানিজম। কারণ, আমি তো জানিই আর আপনিও ভালমতো জানেন যে, আমি বা আমরা সমাজের এক বিশেষ শ্রেণি। আমাদের কারও নামে কবিতাউপন্যাস-প্রবন্ধের বই আছে, কারও নামে চলচ্চিত্র আছে, কারও নামে চিত্রশিল্প আছে, কারও নাটক আছে, নাট্যগোষ্ঠী আছে। আমি ও তারা সকলেই কোনও না কোনও নির্দিষ্ট শিল্পকলার স্রষ্টা, শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত। অতএব, বিশিষ্ট। বিদ্বজ্জন। অথচ পরিবেশ সামান্যতম অস্বস্তিকর বুঝলেই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি এই সমস্ত 'ব’–বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্টজন, বিদ্বজ্জন-এর তকমা এড়াতে। কেন এরকম করি আমরা? আপনাকে খুলে বলি একটু।
This story is from the September 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।