DeneGOLD- Free

শমীবৃক্ষের নীচে
Desh|September 02, 2024
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।
- যুধাজিৎ দাশগুপ্ত
শমীবৃক্ষের নীচে

সত্যিই আমাদের এই উন্মুক্ত সমাজ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমার এই আশি বছরের জীবনকে উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছে। এখানে আমি পাহাড়ে এবং উপত্যকার চড়াই-উতরাইয়ে হেঁটে বেড়িয়েছি, ময়ূরের নাচ এবং হাতির পালকে দেখেছি, মাসুরের মোহনায় মৎস্যজীবী, শিরশির মশলা বাগানের মালিক, মণিপুরের পাহাড়ের গাংটে আদিবাসী এবং গাডচিরোলির অরণ্যনিবাসী গোন্দ উপজাতির মানুষদের সঙ্গে দিনযাপন করেছি, অথচ, এই পুরো সময়টাই আমি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের অংশ ছিলাম।

বিজ্ঞানসাধক মাধব গ্যাডগিলের জীবনের এক নিটোল সারসংক্ষেপ এটা হতেই পারত— সত্যি বলতে কী, এ বাক্যগুলো তিনি নিজেই তো লিখেছেন! যেন জীবনের উপান্তে পৌঁছে কেউ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে দৈনন্দিন রুটির জন্য। কিন্তু গোল হল, এমন এক পরিপূর্ণ আত্মতৃপ্ত কণ্ঠস্বরে পাঠকের পক্ষে ভুল দিশায় চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ভরসা এই যে, পঙ্ক্তিগুলো তার সামনে আসে একেবারে শেষ অধ্যায়ের গোড়ায়, আর ততক্ষণে পাঠকের বোঝা হয়ে গেছে মাধব গ্যাডগিলের তরোয়ালের ধার। ব্যুরোক্র্যাসির মূঢ়তা থেকে রাষ্ট্রশক্তি ও খনি-কলকারখানা মালিকের গাঁটছড়া, বন দফতরের ঔপনিবেশিক যুগের মানসিকতা থেকে কুম্ভীরাশ্রু ঝরানো শহুরে বন্যপ্রাণপ্রেমীর দল, কাউকে তিনি ছাড়েন না; প্রবাদপ্রতিম পক্ষিবিজ্ঞানী সলিম আলিকেও না। প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার এই আত্মজীবনীর মোটামুটি এক-তৃতীয়াংশ পেরিয়ে আসতে না আসতেই গ্যাডগিলকে দেখা যায় ডাইনে-বাঁয়ে মূর্তি ভাঙার যজ্ঞে। বহু মূর্তির একটি যেমন ১৯৭২-এর ভারতীয় বন্যপ্রাণী আইন। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে রাজ্য ও রাষ্ট্রের নানা আসনে বসা সমস্ত যুগের প্রশাসকদের যে-চরিত্র তিনি উদ্ঘাটন করেছেন, তা গড় সত্য হিসেবে তেমন অচেনা হয়তো নয়, কিন্তু এখানে তা আসে সাক্ষীসাবদ সমেত।

পড়তে পড়তে কখনও মেঘনাদ সাহার কথা মনে আসবে, বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি নানা সমীক্ষা ও পরিকল্পনা দলের সদস্য হিসেবে কাজ করার প্রেক্ষিতে, ইস্পাতকঠিন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও। তবে মিলটা জে বি এস হলডেন-এর সঙ্গেই বেশি। এটা বোধহয় মাধব গ্যাডগিলএরও নজর এড়ায়নি, বইয়ের গোড়াতেই তিনি হলডেনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, উল্লেখ করেছেন ওঁর এ দেশে আসা ঘিরে তাঁদের পরিবারের উত্তেজনা আর ঘটনাটার পিছনে তাঁর বাবা ধনঞ্জয় রামচন্দ্র গ্যাডগিলের ভূমিকা।

Bu hikaye Desh dergisinin September 02, 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

Bu hikaye Desh dergisinin September 02, 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

DESH DERGISINDEN DAHA FAZLA HIKAYETümünü görüntüle
কবিতার খাতা
Desh

কবিতার খাতা

দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।

time-read
8 dak  |
January 02, 2025
কলের গাড়ি
Desh

কলের গাড়ি

এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
উপেনবাবুর মেয়ে
Desh

উপেনবাবুর মেয়ে

গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।

time-read
10 dak  |
January 02, 2025
ভালবাসার গল্প
Desh

ভালবাসার গল্প

বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।

time-read
9 dak  |
January 02, 2025
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
Desh

তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন

জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।

time-read
4 dak  |
January 02, 2025
সুখলালের কিস্সা
Desh

সুখলালের কিস্সা

সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
১৯৬৪
Desh

১৯৬৪

শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।

time-read
10 dak  |
January 02, 2025
রক্ষক
Desh

রক্ষক

আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
ফুলের তোড়া
Desh

ফুলের তোড়া

বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”

time-read
9 dak  |
January 02, 2025
সমাজের শিকড়ে
Desh

সমাজের শিকড়ে

মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।

time-read
5 dak  |
January 02, 2025

Hizmetlerimizi sunmak ve geliştirmek için çerezler kullanıyoruz. Sitemizi kullanarak çerezlere izin vermiş olursun. Learn more