গত দিনকয়েক ধরেই তাঁর আশঙ্কাজনক শারীরিক পরিস্থিতির কথা শোনা যাচ্ছিল। যদিও সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং গোটা দেশের গ সমস্ত রাজনীতি-সচেতন মানুষের আশাও ছিল একবুক। কারণ, দিন তিনেক আগে এমনটা শোনা গিয়েছিল যে, ভেন্টিলেটরে থাকা সত্ত্বেও হয়তো অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। সে খবর সত্যি হল না। অকালে তো বটেই, সঙ্গে এটাও বলতে হয়, ফুসফুসের সংক্রমণে বড় অসময়ে চলে গেলেন সীতারাম ইয়েচুরি। আর এই মৃত্যুর সঙ্গে জুড়ে আছে আর-একটি শোক সংবাদ। সম্ভবত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অগস্ট মাসের ১৯ তারিখে। ৮ অগস্ট বুদ্ধবাবু চলে যাওয়ার পর ২২ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণসভায় ভিডিয়োতে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক। আর সেভাবে প্রসঙ্গক্রম না-থাকলেও, মনে করাতে হয় কোভিড-এর সময় তাঁর পুত্র আশিসের মৃত্যুর কথা, সালটা ২০২১। সেই পারিবারিক শোক সামাল দিয়ে কোভিড পরবর্তী ভারতীয় রাজনীতিতে ফের স্বমহিমায় বিচরণ করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। এবারে বিজেপির যে-বিপুল এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ঘোষণা, এবং তা অসফল করার যে-বিরোধী জোট, তার অন্যতম কান্ডারি তিনি। সিপিআইএম বেশি আসন পায়নি ঠিকই। কিন্তু গোটা দেশজুড়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে-জোট, তার মধ্যমণি ছিলেন সদাহাস্যময় এই কমিউনিস্ট নেতা।
This story is from the September 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।