রক্ষক
রাফায়েলের বয়স এখন সাঁইত্রিশ। রোদে পোড়া লালচে গায়ের রং, ছ'ফুটের বেশি লম্বা। প্রস্থেও কিছু কম যায় না। একশো কুড়ি কেজির কাছাকাছি ওজন। সারা জীবন ধরে পিৎজা খেয়ে আর বিয়ার পান করে ভুঁড়িটাও বাগিয়েছে ভালই। দিলখোলা মানুষ, হা হা করে হাসে।
রাফায়েল বাস করে কানাডা ছোঁয়া ভারমন্ট রাজ্যে। যদিও এই বসবাস করাটা তার নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী নয়। যে-বাড়িটায় সে থাকে সেটা তার পূর্বপুরুষদের বাড়ি। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া। কয়েক শতাব্দ আগে ফ্রান্স থেকে তার কোনও পূর্বপুরুষ এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন এখানে। বংশ পরম্পরায় মেপল সিরাপ তৈরি করাই ছিল তাঁদের জীবিকা । এ অঞ্চলে প্রচুর মেপল গাছ। তাঁদের নিজস্ব কয়েক একর জমিতেও বেশ কিছু শুগার মেপল গাছ লাগিয়েছিলেন তাঁরা। দেড়শো-দু'শো বছরের পুরনো গাছগুলো আকাশের সঙ্গে গলাগলি করে এখন। কিছু গাছ মরে গেলেও যে ক'টা আছে তাদের থেকে মন্দ আয় হয় না। রাফায়েলের।
শীতের শেষে অথবা বসন্তের শুরুতে গাছগুলোয় ড্রিল করে ইঞ্চি দেড়েক চওড়া একটা করে ফুটো করে রাফায়েল। তবে আবহাওয়ারও খেয়াল রাখতে হয়। চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় মেপলের শরীরে রস প্রবাহিত হয় না। তাই শীতের শেষে রাতগুলো যখন কনকনে ঠান্ডা অথচ দিনে সূর্যের আলো ঝলমল করে, তখনই কাজটা সারতে হয়। নিজের বুক বরাবর প্রতিটি গাছে একটা করে ছিদ্র করে সে। তার পর সেখানে একটা কাঠের গোঁজ লাগিয়ে দেয়। তবে ইদানীং চমৎকার প্লাস্টিকের গোঁজও পাওয়া যায়। সেগুলোর তলায় একটা করে বালতি ঝুলিয়ে দিলেই তার কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর পরের কাজ প্রকৃতির। সারা দিন, সারা রাত ধরে টিপটিপ আর টপটপ। মুখঢাকা বালতিগুলোর ছোট্ট ফুটো দিয়ে তাদের অনুপ্রবেশ।
ছোটবেলায় রাফায়েলের ঠাকুরদা যখন গাছগুলোয় ড্রিল করে ফুটো তৈরি করতেন, তখন ভারী কষ্ট হত তাঁর। মনে হত গাছগুলোর শরীরে ব্যথা লাগছে বুঝি। কিন্তু নিজে যখন এই মেপল সিরাপ তৈরিটাকে একটা জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করলেন, তখন আর কষ্ট হত না। মনে হত, যত ছিদ্র ততই অর্থাগম। রাফায়েলের ঠাকুরদা বলেছিলেন, “নিজের জীবিকার সঙ্গে আবেগকে জড়াবে না। আজ যদি কসাইরা গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি কাটা বন্ধ করে দেয়, তবে আমাদের মাংসের জোগান দেবে কে?” আর-একটা কথাও শিখিয়েছিলেন রাফায়েলের ঠাকুরদা। বলেছিলেন, “গাছের গায়ে ফুটোটা করার সময় একটু তেরছা ভাবে করবে। নইলে গাছের গা বেয়ে সব রস চুঁইয়ে পড়ে যাবে।”
Denne historien er fra January 02, 2025-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra January 02, 2025-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
বাঙালির কতটুকু মনমোহন?
গত বছর আমরা হারালাম বেশ কয়েকজন গুণী রাজনীতিবিদকে, যাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। মনমোহন সিংহের মতো নেতার অবদান অমূল্য, যদিও তিনি জনগণের কাছে তেমন পরিচিত ছিলেন না।
সংস্কারক
মনমোহন খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যাবে। রাজকোষ ঘাটতিতে লাগাম পরাতে, শিল্পনীতিতে আমূল পরিবর্তন, অর্থনীতির উদারীকরণের জন্য যা যা করার, সব করা হবে।
রত্নগর্ভা
প্রবালের প্রশ্নে শান্ত, স্থির কিন্তু গভীর ছিল কিছু একটা। রত্না একদমই বিরক্তি অনুভব করলেন, তবে আজ আর কিছু বললেন না।
এক মেধাবী রাজনীতিক
সাউথ ব্লকের সামনে রাইসিনা হিলে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের হইচইয়ের মধ্যে দেশের রাজনীতি বদলে গিয়েছিল। মনমোহন সিংহের দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি ইতিহাস সৃষ্টি করে, যা বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করে।
একটি প্রস্তাব এবং
গ্রীষ্মের দুপুরে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে একাকী বসে মোবাইলে ওয়েবসাইট ঘাঁটছিল বর্ষা। ইমেইলে হঠাৎ নির্ঝরের মেসেজ পেয়ে তার মনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল, যেন পুরনো প্রেম ফিরে এসেছে।
খাদকদেবতা
পৌষের হিমেল অন্ধকারে গৌড়বঙ্গের এক পল্লিগ্রামে কালকেতুর তীক্ষ্ণ চোখে ফুটে ওঠে এক ক্রূর হাসি, আর অন্ধকারে প্রবেশের অপেক্ষা। এক গভীর বাসনার প্রভাবেই তার শরীর থেকে মুক্তি পেয়ে সূক্ষ্ম অবস্থানে ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
চালচিত্র
ভাল অভিনয় ও স্মার্ট মেকিং ছবিটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হত্যাকারীর মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করেন দর্শক।
স্বাস্থ্য ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই রাজ্যের ঘটনাপরম্পরা আবারও ইঙ্গিত করছে যে, অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে।
দুই সংস্কৃতির সংলাপ
আলোচ্য গ্রন্থে বাংলা গদ্যের অনুবাদ-সঙ্কলনে ধরা পড়ে ঐতিহাসিক গভীরতা, বিষয় বৈচিত্র এবং বিন্যাস-বৈচিত্র।
বাস্তুভিটে
বাস্তুভিটে নাটকে সময়ের খেলার মাঝে গজমাধব মুকুটমণির ফিরে আসার এক চিত্র। পুরনো স্মৃতি, বর্তমান বাস্তবতা আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার দোলাচলে গড়ে ওঠে একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প।\"
