দৃশ্য ও দৃষ্টের ভাঙাগড়া

দেবভাষার গ্যালারিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যামিনী রায়ের ছবির একটি প্রদর্শনী। প্রদর্শিত ছবির প্রায় সবগুলিই রেখাচিত্র, এবং প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে, যামিনী রায়ের ছবি বলতেই যে-উজ্জ্বল, বর্ণিল দৃশ্যকল্প আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তার সঙ্গে এই কাজগুলির প্রায় কোনও মিলই খুঁজে পাওয়া যায় না, অন্তত প্রাথমিকভাবে। বেশির ভাগ ছবিই পেন অ্যান্ড ইঙ্কে করা স্কেচ, কিছু কিছু এর মধ্যে স্টাডিও, এবং সেগুলি অত্যন্ত ক্ষুদ্রায়তন। এমন নয় যে, তাঁর এই ধরনের কাজ নিয়ে চর্চা বা নিবিষ্ট লেখালিখি হয়নি, কিন্তু শুধুমাত্র এই কাজ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী আগে হয়েছে বলে জানা নেই। ফলে এই প্রদর্শনীর গুরুত্ব অপরিমেয়, এবং তা শুধু শিল্পরসিকের কাছে নয়, শিল্প-ঐতিহাসিকের কাছেও।
যামিনী রায়ের ছবির যে-চেনা আদল, তার সঙ্গে এই কাজগুলির যে সরাসরি সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায় না, তা নেহাতই একটা প্রাথমিক দৃষ্টিবিভ্রম। তার কারণ দ্বিবিধ। প্রথম বিষয়টি হল, কয়েকটি ছবি বাদ দিলে প্রায় প্রতিটি কাজই সম্পূর্ণত বর্ণহীন। দ্বিতীয়ত, তাঁর ছবির সঙ্গে সজ্জা ও সামঞ্জস্যের বোধ দর্শকের মনে এমনভাবে ওতপ্রোত হয়ে রয়েছে যে, এই বিশেষ কাজগুলিতে পূর্বপরিকল্পনাবিহীন দ্রুত রেখার চলন—যা তাঁর চেনা, প্রিমেডিটেটেড রেখার থেকে স্বতন্ত্র — স্বভাবতই খানিকটা অপরিচিত লাগে। তবে এই প্রাথমিকতার পরে একটা আবিষ্কারের কাহিনিও রয়েছে, সেটিই এই প্রদর্শনীর সর্বোত্তম প্রাপ্তি। ছবি খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে আমরা পেয়ে যাই সেইসব চেনা মোটিফ যা তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলিতে উঠে এসেছে বার বার—সেই স্থিরদৃষ্টি, আয়ত-অক্ষি নারীমূর্তি যিনি কখনও গণেশজননী, কখনও বিবিধ ভঙ্গিমার মানবী, তাঁদের শরীরে সেই বঙ্কিম দেহছন্দ যা তাঁর ছবির স্থির সারফেসে বুনে দেয় জীবনের চলন! এবং শুধু এটুকুই নয়। নিছক বস্তুসাদৃশ্যের এলাকাটি পেরিয়ে গিয়ে আমরা এক গহন প্রক্রিয়ারও মুখোমুখি হই। দৃশ্য ও দৃষ্টের ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে কীভাবে তিনি পৌঁছোচ্ছেন তাঁর শিল্পপ্রতিমার কাছে, সেই অন্তর্গত যাত্রার স্থানাঙ্কগুলি দর্শকের সামনে ক্রমশই উন্মোচিত হতে থাকে। এগুলির কোনওটিই প্রচলিত অর্থে স্টাডি নয়, বাস্তব থেকে সরাসরি তিনি স্কেচ করেছেন, এমনটাও নয়। কিন্তু গভীরতর অর্থে এগুলিকে স্টাডি বলাই যায়, কারণ অত্যন্ত অভিনিবেশ নিয়ে তিনি নিরীক্ষণ করেছেন কম্পোজিশনের নানা সম্ভাবনা, স্পেস ডিভিশনও।
Denne historien er fra January 17, 2025-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra January 17, 2025-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

বাঙালির কতটুকু মনমোহন?
গত বছর আমরা হারালাম বেশ কয়েকজন গুণী রাজনীতিবিদকে, যাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। মনমোহন সিংহের মতো নেতার অবদান অমূল্য, যদিও তিনি জনগণের কাছে তেমন পরিচিত ছিলেন না।

সংস্কারক
মনমোহন খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যাবে। রাজকোষ ঘাটতিতে লাগাম পরাতে, শিল্পনীতিতে আমূল পরিবর্তন, অর্থনীতির উদারীকরণের জন্য যা যা করার, সব করা হবে।

রত্নগর্ভা
প্রবালের প্রশ্নে শান্ত, স্থির কিন্তু গভীর ছিল কিছু একটা। রত্না একদমই বিরক্তি অনুভব করলেন, তবে আজ আর কিছু বললেন না।

এক মেধাবী রাজনীতিক
সাউথ ব্লকের সামনে রাইসিনা হিলে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের হইচইয়ের মধ্যে দেশের রাজনীতি বদলে গিয়েছিল। মনমোহন সিংহের দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি ইতিহাস সৃষ্টি করে, যা বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করে।

একটি প্রস্তাব এবং
গ্রীষ্মের দুপুরে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে একাকী বসে মোবাইলে ওয়েবসাইট ঘাঁটছিল বর্ষা। ইমেইলে হঠাৎ নির্ঝরের মেসেজ পেয়ে তার মনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল, যেন পুরনো প্রেম ফিরে এসেছে।

খাদকদেবতা
পৌষের হিমেল অন্ধকারে গৌড়বঙ্গের এক পল্লিগ্রামে কালকেতুর তীক্ষ্ণ চোখে ফুটে ওঠে এক ক্রূর হাসি, আর অন্ধকারে প্রবেশের অপেক্ষা। এক গভীর বাসনার প্রভাবেই তার শরীর থেকে মুক্তি পেয়ে সূক্ষ্ম অবস্থানে ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

চালচিত্র
ভাল অভিনয় ও স্মার্ট মেকিং ছবিটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হত্যাকারীর মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করেন দর্শক।

স্বাস্থ্য ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই রাজ্যের ঘটনাপরম্পরা আবারও ইঙ্গিত করছে যে, অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে।

দুই সংস্কৃতির সংলাপ
আলোচ্য গ্রন্থে বাংলা গদ্যের অনুবাদ-সঙ্কলনে ধরা পড়ে ঐতিহাসিক গভীরতা, বিষয় বৈচিত্র এবং বিন্যাস-বৈচিত্র।

বাস্তুভিটে
বাস্তুভিটে নাটকে সময়ের খেলার মাঝে গজমাধব মুকুটমণির ফিরে আসার এক চিত্র। পুরনো স্মৃতি, বর্তমান বাস্তবতা আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার দোলাচলে গড়ে ওঠে একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প।\"