বাতব্যাধি ও নানা ব্যথা-বেদনায় আয়ুর্বেদ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

বাতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বাত কেন হয়: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কার্টিলেজের (তরুণাস্থির) ক্ষয়, জরুরি ভিটামিন ও মিনারেলস-এর অভাব, স্থূলতা, অতিরিক্ত পরিশ্রম অথবা চোট আঘাতের কারণে বাতব্যাধি বা বাত হয়। হাঁটু বা নি জয়েন্টে এই রোগের আক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়। এতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা, ফোলা, সন্ধির আড়ষ্টভাব বা স্টিফনেস দেখা যায়। অনেকে শীত বা বর্ষায় ব্যথা বেড়ে যাওয়ার কথাও বলেন। সন্ধির সংকোচন প্রসারণে ব্যথা অনুভূত হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটাচলা বেশি করার ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে।

● • কী করবেন, কী করবেন না: বাতব্যাধির অনুরূপ লক্ষণযুক্ত আরও বিভিন্ন অসুখ আছে। তাই প্রথমে নিশ্চিত হওয়া দরকার যে রোগীর বাত বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হয়েছে কি না। কারণ, তা না হলে অন্য রোগে বাতব্যাধির চিকিৎসা করলে ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল। ১. বাতব্যাধি আক্রান্ত ব্যক্তির ঠান্ডা খাদ্য ও পানীয় সেবন একেবারেই নিষেধ। খুব ঠান্ডা বাসস্থান এই রোগ বৃদ্ধির কারণ। ২. দেহের ওজন যদি খুব বেশি হয়, তবে তা বাতব্যাধির পক্ষে ক্ষতিকর।

৩. আক্রান্তের অস্থিসন্ধিতে যাতে কোনওভাবে আঘাত না লাগে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার। ৪. শুণ্ঠি (আদা শুঁঠ) এবং রসুন এই রোগে নিয়মিত খাওয়া ভালো। ৫. এছাড়া দশমূল ক্বাথ এবং মহারাস্নাদি স্কাথ পান করতে হবে।

ওষুধ বাতব্যাধিতে ৬. গুরুলঘটিত বিশেষ উপকারী। গুগ্গল অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণযুক্ত। এতে আক্রান্ত সন্ধির ব্যথা ও ফোলাভাব কমে। সন্ধিতে যে তরুণাস্থি থাকে, তাদের বল বৃদ্ধি ও ক্ষয় রোগের জন্য গুরুল প্রয়োগে উপকার পাওয়া যায়।

বাতব্যাধিতে আক্রান্ত অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ ক্ষয় হয় এবং সন্ধিস্থলে যে সাইনুভিয়াল তরল থাকে, তার পরিমাণ কমে যায়। ফলে সন্ধির কার্যক্ষমতা কমে যায়। সেইসঙ্গে ফোলাভাব ও ব্যথা কমে।