গলির ভিতর পুরনো বাড়ি। বাইরে ভেসে আসছে হালকা গানের সুর। সিঁড়ি ভেঙে তিনতলায় উঠলাম। মেঝেতে শতরঞ্চির উপর ছড়িয়ে বসে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাণ্ডারিরা। শারীরিক কারণেই তাদের ‘বিশেষ’ তকমা দিয়েছে সমাজ। চেয়ারের উপর রাখা হারমোনিয়াম। সোফায় বসে সেটি বাজিয়ে গান শেখাচ্ছেন আন্টি, ম্যাম, দিদি – যে নামেই সম্বোধন করা হোক না কেন, সুচরিতা চক্রবর্তী। তিনি এই শিশুদের মাতৃসমা। মিউজিক থেরাপির মাধ্যমে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন শিশুদের জীবনযুদ্ধ কিছুটা সহজ করার কাজ করছেন তিনি।
‘আমি কোনও থেরাপিস্ট নই। গানের শিক্ষিকা। একজন ‘স্পেশাল মাদার' হিসেবে আমি দেখেছি, গান শিখলে শুধু যে ওদের মনোযোগ বাড়ে, তা নয়। অটিজম আক্রান্ত অনেক শিশুরই কথা বলায় সমস্যা থাকে। তাদের কথার স্বচ্ছতা আনতে ‘সরগম’ সাহায্য করেছে। আমি নিজে তার প্রমাণ পেয়েছি,' বলছিলেন সুচরিতা। এই কাজে তাঁর অনুপ্রেরণা ১৬ বছরের আকাশ। একমাত্র সন্তান। আকাশ অটিজম আক্রান্ত। ২ বছর ১১ মাসে একটা প্লে স্কুলে যেত আমার ছেলে। তাঁরা কিছু ধরতে পারেননি। সাউথ পয়েন্টে নার্সারি টুতে যখন উঠল, তখন ক্লাস ইনচার্জ আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ও নিজের জগতে থাকে। কারও সঙ্গে মেলামেশা করে না। সব বাচ্চা খেলছে। ও কেন আলাদাভাবে খেলছে? তখনই ধরা পড়ে ওর অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার। তারপর ‘আওয়ার অস্তিত্ব’ স্কুলে পড়ত। ওখানেই ওর বন্ধুদের মায়েরা আমাকে বলেন, ‘তুমি তো আকাশকে গান শেখাও। আমাদের বাচ্চাগুলোকেও করাও’।' বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে সুচরিতার কাজের শুরুটা এভাবেই।
This story is from the April 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ফল রস করে খাবেন নাকি চিবিয়ে খাবেন?
পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের ডায়েটেশিয়ান সঞ্চিতা শীল
রূপচর্চায় লেবু!
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সত্য স্মরণ অধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ
শুচিবায়ুগ্রস্ত স্ত্রী ও অসহায় এক স্বামীর গল্প
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।
হাতে হাতে রোগ ছড়ানো আটকান
শরীরের অন্দরে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘হাত' আমাদের হস্তযুগলের! লিখেছেন বিভাষচন্দ্র মজুমদার।
কেনিয়ার জলে জঙ্গলে
ওয়াইফাই, সভ্যতার উচ্চনাদ থেকে বহু ক্রোশ দূরে কেনিয়ার অরণ্য এখনও বেঁচে আছে আদিম নীরবতাকে আশ্রয় করে। লিখেছেন ডঃ সঞ্জীব রায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর ত্বকের যত্ন!
পরামর্শে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ অরুণ আচার।
শিল্পই তার জিয়নকাঠি
শ্রেয়া ব্রহ্মর বয়স বেশি নয়। তবু তার জীবনীশক্তি, শিল্পকে আঁকড়ে ধরে লড়াইয়ের অদম্য মানসিকতা বহু মানুষকেই হার মানার আগে একবার জেতার কথা ভাবতে বাধ্য করবে। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
মানুষকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে সম্পর্ক! ...
নিজেকে কিছু করতে হবে। নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? সেটাই জানেন না অধিকাংশ। এদিকে বাবা-মা বা প্রিয়জনের নামে পরিচিত হতে চাইছেন না অনেকেই। চাইছেন অমুকের ছেলে, তমুকের মেয়ে নয়, তাঁর নামই ‘নাম' হয়ে উঠুক। ছটফটানির সঙ্গে বাড়ছে অস্তিত্ব সঙ্কট। কয়েক দশকের বাঙালি মনে উঁকি দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।
গুন্টার ব্লোবেল
এক নাছোড়বান্দা গবেষকের বিস্ময়কর জীবনের কথা লিখেছেন বিভাস মজুমদার।
গেঁটে বাতে নাজেহাল ? সমাধান কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়