বয়স্কদের পেশির জোর বাড়াতে সহজ ব্যায়াম

পরামর্শে যোগবিশারদ তুষার শীল।

বয়স ষাটের উপর। এই বয়সে চাকুরিজীবীরা অবসর নেন কাজ থেকে। কেউ কেউ আবার নিজেদের বৃদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে বৃদ্ধাবস্থা যত না বেশি শারীরিক, তার চাইতে অনেক বেশি মানসিক। কারণ চোখ মেললেই দেখা যায়, যাঁরা যোগচর্চার সঙ্গে যুক্ত বা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের জীবন ঠিক এই বয়সেই শুরু হয়। তাঁদের কাছে ‘চলতি কা নাম জিন্দেগি'। যেমন বাংলার গর্ব বিশ্বশ্রী মনোহর আইচ। ১০৪ বছর বেঁচেছিলেন সুস্থ শরীরে। বিশ্বশ্রী মনোতোষ রায় ৮৭ বছর বেঁচেছিলেন সবল দেহে। ভারতশ্রী কমল ভাণ্ডারী ৮০ বছরের বেশি বয়স অবধি সুস্থ-সবল জীবন কাটিয়েছেন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ব্যায়াম করছেন তাঁরা মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত সুস্থ শরীরেই থাকছেন। অন্যদিকে অসংযমী জীবনযাপন করেও হয়তো আশি বছর পর্যন্ত বাঁচা যায়। তবে বেঁচে থাকাটাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যায়। সর্বদা হা হুতাশ করতে হয় আর কতদিন বাঁচতে হবে ভেবে! অথচ ইতিবাচক দিকগুলির দিকে তাকালে ভবিষ্যৎ জীবন কীভাবে কাটানো উচিত, তা কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। ষাটোর্ধ ব্যক্তি মানেই ধরে নেওয়া যেতে পারে, ছেলে বা মেয়ের সাধারণত বিয়ে হয়ে গিয়েছে, বা সন্তান জীবনে থিতু হয়েছে। অতএব আর শুধুই সংসারের চিন্তা করার দরকার নেই। এবার নিজের জন্য ভাবনা শুরু করা যেতে পারে। তাছাড়া আপন জীবন চালানোর জন্যও অনেককে রোজগার করতে হয়। অতএব স্বাবলম্বী থাকতে হলেও শারীরিকভাবেও ফিট থাকা দরকার। এই কারণেই দেখা যায়, বয়স্ক মানুষ যাঁরা কোনও না কোনওভাবে শরীরচর্চা করেন, তাঁরা সর্বদা জীবনের জয়গান গেয়ে চলেন। একটা বিষয় বুঝতে হবে, বয়স হলে শরীরে ব্যাধি বাসা বাঁধবেই। তাই বলে রোগের পিছনে ছুটলে চলবে কেন। বরং রোগ আমাদের পিছনে দৌড়াক। সুতরাং আমরা এত দ্রুত হাঁটব, এত দ্রুত ছুটব যে রোগ আমাদের ছুঁতেও পারবে না।