বাচ্চার মেজাজ খিটখিটে? হতে পারে কৃমি

পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ-এর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌম্যদেব সাহা ৷

কৃষ্ণ আর কৃষ্ণা! ১ মিনিটের ছোটবড়। জন্মের ১ বছর পর সেই যে দুই পায়ে দাঁড়াতে শিকল ওরা, তারপর আর বসেনি! শুধু ছুটছে! ক্রমাগত এটা ভাঙছে, ওটা ছুড়ছে। বাবার শেভিং ক্রিমে দিয়ে মাজছে দাঁত। পোস্তর তরকারিতে দিচ্ছে আমের কুচি। লঙ্কা গুঁড়ো পঢ়ছে ঠাম্মির ইসবগুলে! তারপরে হঠাৎ যেন কী একটা হয়ে গেল। দুই ভাইবোন নির্জীব, অথচ খিটখিটে হয়ে উঠতে লাগল ক্রমশ। খামচে দেওয়া, কামড়ে দেওয়া লেগেই থাকত। তার সঙ্গে বারবার পেট ব্যথা, কাশি, খিদে কমে যাওয়া, মাঝেমধ্যেই জ্বর, ওজন কমতে শুরু করার মতো উপসর্গ দেখা দিল। ছোট্ট মানুষ দুটোর হাড় জিরজিরে চেহারা দেখে আর থাকতে পারলেন না পাশের বাড়ির এক জেঠিমা। 'ডাক্তার দেখাও গো ভালো করে।

মনে হচ্ছে কৃমি হয়েছে।'— ভাইবোনের মা রূপাকে বললেন তিনি। সত্যিই তাই। চিকিৎসক জানালেন ভাইবোনে একসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে গোল কৃমির সমস্যায়! চলল ওষুধ। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠল ওরা। সারা পাড়ার লোকে মুখে ফুঠে উঠল হাসি। আসুন বিশদে জেনে নিই কুমির

সমস্যা আসলে কী? আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছি। ছোটবেলা এবং বড় হলেও। কৃমি বহুকোষী পরজীবী প্রাণী। খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায়। মানবশরীর হল এই পরজীবীর আবাসস্থল। কৃমি প্রধানত দুই ধরনের— ফিতাকৃমি ও গোলকৃমি (রাউন্ডওয়ার্ম এবং টেপওয়ার্ম)।