সকাল সকাল বাজারে বেরিয়েছিলেন বিমলবাবু। টুকটাক শরীরচর্চা করেন, অসুখবিসুখ মোটের উপর কব্জায়। কিন্তু বাজার করে ফেরার পথে আজ কেমন করে যেন মাথাটা টাল খেল! বাড়ি ফিরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে দেখা গেল প্রেশারটা বেড়েছে। তারপর এক সপ্তাহ ধরে ওই একই সময়ে প্রেশার মেপে বোঝা গেল, সত্যিই ব্লাড প্রেশারের অসুখ শরীরে ঢুকেছে। হার্টের তেমন জটিলতা না থাকলেও প্রেশারের কারণে এবার হৃদয়ের প্রতিও বাড়তি নজর দিতে হবে। বিমলবাবুর যদিও বয়স হয়েছে, তবে রক্তচাপের সমস্যা ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যায়। সেডেন্টারি লাইফস্টাইল, অবৈজ্ঞানিক ডায়েট ও মানসিক চাপ থেকে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা শুরু হয়।
ব্লাড প্রেশার কী মানবদেহের রক্তবাহী নালীর ভিতরে রক্তের যে প্রবাহ, তা সেই নালীতে যে পরিমাণ চাপ প্রদান করে তাকেই রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ দু' ধরনের। সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক। যখন বিশুদ্ধ রক্ত হার্ট থেকে মানবদেহের সব কোষে কোষে ছড়িয়ে দেয়, তাকে সিস্টোলিক প্রেশার বলে। আবার দূষিত রক্ত হৃদযন্ত্রে ফিরে আসার সময়ের চাপকে ডায়াস্টোলিক প্রেশার বলে। রক্তচাপের মাপ একটা সময় ছিল যখন একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির রক্তচাপের পরিমাণ ধরা হতো ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। সিস্টোলিক প্রেশার ১২০। ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৮০। কিন্তু বর্তমানে এই অঙ্কে বদল এনেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন বলা হয়, সিস্টোলিক প্রেশার ১৪০ ও ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৯০-এর উপর চলে গেলে তখন সেই ব্যক্তি হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বলে ধরা হবে। তাই দিনকয়েক ধরে পরিমাপের পরেও কারও ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০-এর বেশি হয় বুঝতে হবে তিনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই মাপ হার্টের রোগী, থাইরয়েড ও ডায়াবেটিসের রোগী, বয়স, শরীরে কোনও সংক্রমণ আছে কি না এমন নানা বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই উচ্চ রক্তচাপ এসেছে কি না তা জানতে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণ নিন।
This story is from the June 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়!
প্রতিটি সমস্যাই আসলে জীবনের শিক্ষা!' একথা আমরা পড়েছি পাঠ্যবইয়ে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা উপলব্ধি করেছেন নিজের জীবন দিয়ে। একদা চলচ্ছক্তিহীন মেয়েটি মেরুদণ্ড শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসা। আরও এক লড়াকু মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করালেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
ভালো ডাক্তার ভালো গোয়েন্দার মতোই’
তিনি রাশভারী, হাসেন কম। বরাবর স্বল্পবাক। তাঁর রোগী দেখার ইউএসপি নিবিড় পর্যবেক্ষণ। অস্থির সময়ে ছাত্রাবস্থা কেটেছে। ডাক্তারি পড়ার পরিকল্পনা না থাকলেও হয়েছেন দেশের প্রথম সারির কার্ডিওলজিস্ট। আজও মনে করেন, সুপার স্পেশালিস্ট নয়, একজন ভালো জেনারেল প্র্যাকটিশনার না হলে চিকিৎসক জীবনের চোদ্দো আনা ফাঁকি! বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস-এর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।
ফোটানো জল নাকি ফিল্টারের জল, কোনটা বেশি নিরাপদ?
পরামর্শে পূর্ব বর্ধমান জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী।
ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়াইজম্যান
করোনা রোধে এমআরএনএ টিকা আবিষ্কারের নেপথ্যে ড্রিউ ওয়াইজম্যান ও ক্যাটালিন কারিকোর গবেষণার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই গবেষণার স্বীকৃতি মিলল ২০২৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার রূপে। লিখেছেন স্বরূপ কুলভী৷
রোনাল্ডোই অনুপ্রেরণা: পেপে
বয়স? ফ্যাক্টরই নয় তাঁদের কাছে। স্ট্রেস, টেনশনে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার সময়ে কীভাবে পারেন ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে? টিপস দিচ্ছেন তারকারা। এবারের ব্যক্তিত্ব পেপে৷ লিখেছেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়।
চারটে ভেজানো বাদাম দিয়ে আমার দিন শুরু হয়।
বউ কথা কও-এর ‘মৌরি’-কে বাঙালি আজও ভোলেনি। চেহারা ও আবেদনে আজও একইরকম মোহময়ী মানালি মনীষা দে৷ জানালেন তাঁর স্লিম ও ফিট থাকার রহস্য। আলাপচারিতায় মনীষা মুখোপাধ্যায়।
বঙ্গসাহিত্যের ডাক্তার ডাক্তারি
বিনোদন জগতে চিকিৎসক চরিত্রগুলির সরস উপস্থিতি নিয়ে লিখেছেন ডঃ সায়ন্তন মজুমদার।
ওস্তাদের মার
গ্রামেগঞ্জে ডাক্তারির রোমাঞ্চকর অজানা কাহিনি লিখছেন চিকিৎসক শ্যামল চক্রবর্তী।
ঘনাঘাत দেহমন
মনীষীদের জীবনচর্চাই চরিত্র গঠনের মস্ত বড় শিক্ষা। এই বিভাগে থাকবে সেইসব সমাজসংস্কারকের অবিশ্বাস্য জীবনদর্শনের কথা। লিখছেন গুঞ্জন ঘোষ।
জুতো খুলে খালি পায়ে হাঁটার গুণ
আধুনিক জীবনযাপনের চাপ কমাতে পারে মাটির সঙ্গে ত্বকের যোগাযোগ। লিখেছেন সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়।