প্রতি ডেসিলিটার রক্তে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা ৮০-১০০ মিলিগ্রাম। খাবার খাওয়ার পরে রক্তে সুগারের মাত্রা খানিক বাড়তে পারে। খুব বেশি হলে তা সর্বোচ্চ ১৪০ মিলিগ্রামে পৌঁছাতে পারে। সুগার ফল-এর অর্থ হল, রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া। রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ করে অনেকখানি নেমে যাওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া। এমন সমস্যা সকলের হয় না। হলে বুঝতে হবে শরীরে কোনও না কোনও সমস্যা হয়েছে। তবে তারও আগে জানা দরকার যে হঠাৎ সুগার ফল হলে শরীরে একাধিক ধরনের জটিলতা দেখা যেতে পারে।
হঠাৎ সুগার ফল-এর বিপদ জানলে অবাক হবেন, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য চারটি হরমোন আছে। অন্যদিকে সুগার কমানোর জন্য রয়েছে মাত্র একটি হরমোন। এই তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্য হল, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। রক্তে সুগারের মাত্রা বিপদসীমার নীচে নেমে গেলে ব্রেনের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় পড়ে প্রভাব। আক্রান্ত ক্রমশ চিন্তাশক্তি ও কথাবার্তা বলার ক্ষমতা হারাতে থাকে৷ রোগী অজ্ঞান হয়ে যান। সেইসঙ্গে খিঁচুনিও দেখা যেতে পারে। এই পর্যায়ে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে একসময় মৃত্যুও হতে পারে তাঁর। আবার রোগীর রক্তে দীর্ঘসময় ধরে সুগারের মাত্রা কম থাকলে ব্রেনে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রাণহানি না ঘটলেও তিনি কোমায় চলে যেতে পারেন ও তাঁর ভেজিটেটিভ স্টেট-এ পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আসলে আমাদের ব্রেনের অসংখ্য কোষের কাজ চালানোর জন্য দরকার হয় জ্বালানি বা এনার্জির। আর ব্রেন ফুয়েল হিসেবে শুধু গ্লুকোজকেই কাজে লাগাতে যেতে পারে। তাই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে তখন ব্রেন তার কাজকর্ম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি পায় না। দেখা দেয় নানা ধরনের জটিলতা।
This story is from the July 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়