মেদ ঝরাতে ভাত না রুটি?

পরামর্শে মণিপাল হাসপাতাল, ব্রডওয়ের ডায়েটিশিয়ান ইন-চার্জ সুচন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়

- লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়

সম্প্রতি চেহারা ভারী হতে শুরু | করেছে সুমন্তবাবুর। নিত্য খাবারের ভাবনায় দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিজনরা। এমনিতেই অফিসের চাপ, সারাদিন মিটিং, অফিসের ডেস্কে বসে বড় পদের দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে এক্সারসাইজ বা জিমে যাওয়া হয়ে ওঠে না। মাঝেমাঝেই ফাস্ট ফুডের শরণ নিয়ে ফেলেন! সবমিলিয়ে ওজন বেড়ে ১১০ কেজি! অতএত, খাবার পাতে নজর দিয়েই ওজনবৃদ্ধি জোর মোকাবিলা হোক ।

মোটা কেন হই? যে কোনও খাবার খেয়ে তা খরচ করতে না পারলে শরীর মেদবহুল হয়ে যায়। তখন তাকে ওবেসিটি বলে। কারও বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ৩০-এর বেশি এলে ধরে নেওয়া হয়, সেই ব্যক্তি ওবেসিটিতে আক্রান্ত। দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকেরই হাত-পা রোগা, কিন্তু রীতিমতো ভুঁড়ি আছে। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসারে, এঁরাও ওবেসিটিতে আক্রান্ত। যদিও এঁদের অনেকেরই বিএমআই ৩০-এর নীচে। এই নিয়মের জটিলতার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি গাইডলাইন জারি করেছে। তা অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ যেমন, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিএমআই ২৫ পেরলেই ওবেসিটিতে আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এশীয় মহিলাদের কোমরের মাপ ৮০ সেমি'র বেশি ও পুরুষদের ৯০ সেমি'র বেশি হলে ধরে নিতে হবে তিনি ওবেসিটিতে আক্রান্ত। শিশুদের ওবেসিটির ক্ষেত্রে ঘাড়ের মাপ থেকে বুঝে নেওয়া সম্ভব সে ওবেসিটিতে আক্রান্ত কি না।