
চোখ আমাদের অন্যতম প্রয়োজনীয় ও শক্তিশালী | ইন্দ্রিয়। গোটা দুনিয়াকে দেখা, চো জানা ও চেনার জন্য চোখ ছাড়া গতি নেই। কোনও বস্তুতে আলো পড়লে সেই আলো প্রতিফলিত হয়ে চোখের লেন্স বা রেটিনায় প্রবেশ করে। এতে চোখের মধ্যে ওই বস্তুর এক উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। তখন চোখে থাকা অপটিক স্নায়ু মস্তিষ্ককে বার্তা হিসেবে এই প্রতিবিম্বকে পাঠায়। মস্তিষ্কের কাজ সেই প্রতিবিম্বকে সোজা করে দেওয়া ও বস্তুটি কী তা চিনতে পারা। প্রতিবিম্বকে ব্রেন সোজা করে দেয় বলে আমরা খালি চোখে বস্তুটিকে স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখি, উল্টো দেখি না। চোখ তাই বরাবই খুব গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তবে কিছু অসুখ, কিছু শারীরিক অসুস্থতা ও জীবনশৈলীর নানা কারণে চোখের সমস্যা হয়। ইদানীং শিশুদের ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা অত্যন্ত বেড়েছে। ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ অপথ্যালমোলজি' পত্রিকার একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, এশিয়া, ইউরোপ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। অর্থাৎ, দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হচ্ছে। কোভিড লকডাউনের পর থেকে দৃষ্টি সংক্রান্ত এমন নানা সমস্যা বেড়ে চলেছে। দৈনিক দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল বা কম্পিউটারে চোখ তার অন্যতম কারণ। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের পর্দায় তাকিয়ে থাকলে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম'-ও হয়। মোবাইল, টিভি ও কম্পিউটারের পর্দার কৃত্রিম আলো চোখের ক্ষতি করে। যেহেতু সেগুলিতে একের পর এক স্ক্রিন আসতে থাকে, তাই দেখতে বারবার চোখের দৃষ্টিকে একটি কেন্দ্রের দিকে আনতে হয়। তাই এই ধরনের পর্দার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক কম পড়ে। এতে চোখের পেশি ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। কর্নিয়ার ক্ষতি হয়। এই ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম' থেকেই ধীরে ধীরে মায়োপিয়ার সূত্রপাত হবে। তখন দূরের লেখা ও দূরের কোনও জিনিস দেখতে চশমা বা লেন্স পরতে হবে।
অনেক শিশুরই নিঃশব্দে চোখে পাওয়ারের সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় শিশুরা সে সমস্যা বুঝিয়ে বলতে পারে না। সবসময় খালি চোখে সমস্যা বোঝাও যায় না। তাই জীবনের বিশেষ কয়েকটি সময়ে চক্ষু পরীক্ষা করাটা নিয়মের মধ্যে রাখা উচিত। একজন শিশু যখন স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, তখন একবার তার চোখ দেখানো উচিত। এছাড়া প্রতি ৩ বছর অন্তর সমস্যা বুঝতে না পারলেও চোখ দেখানো উচিত। এছাড়া সন্তান ১৮ বছরে পা দিলে তার চোখ দেখান। আর একবার চোখ দেখান কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার আগে।
This story is from the October 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the October 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

মাইগ্রেনের সমাধান
মাথা যন্ত্রণার এই রোগ একপ্রকার দুর্বিষহ। লক্ষণ ও প্রতিকার কী? পরামর্শে বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ তৃষিতানন্দ রায়।

কীভাবে জব্দ কোলেস্টেরল?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সৌম্যকান্তি দত্ত।

অনিদ্রা থেকে মুক্তির উপায় কী?
পরামর্শে রুবি জেনারেল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়।

আয়ুর্বেদিক দাওয়াই
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র।

বাঙালির ১০ রোগে হোমিওপ্যাথি
পরামর্শে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রথীন চক্রবর্তী।

হাত কাঁপছে কেন?
কেবল প্রবীণদের নয়। তরুণরাও জর্জরিত হাত কাঁপার সমস্যায়। কেন কাঁপে হাত? আলোচনা করলেন বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসক ডাঃ অর্পণ দত্ত।

পা ফোলা থেকে মুক্তি
পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়।

আয়রন
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং রক্তে অক্সিজেন পরিবহণ নিশ্চিত করে। আয়রনের ঘাটতি ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, চুল পড়া, হাত-পা ঠান্ডা হওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি, যেমন পালং শাক, মসুর ডাল, ডিম, গুড়, বাদাম, মাছ ও মাংস। গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত আয়রন গ্রহণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে, তাই খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা আবশ্যক।

টেনশন
টেনশন কি খারাপ? নাকি একটু আধটু টেনশন থাকা ভালো? কী করলে মিলবে অ্যাংজাইটি থেকে মুক্তি? পরামর্শে সাইকোলজিস্ট ডঃ রূপ কল্যাণ। F

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে করবেন কী?
হাঁটু ফুলতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় দরকার পড়লে হাঁটু থেকে ফ্লুইড বের করে পরীক্ষা করেও দেখা যেতে পারে যে ওই ফ্লুইডে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল আছে কি না।