হাঁটু এবং হিপ জয়েন্ট হল দেহের ওয়েট বিয়ারিং জয়েন্ট। | আমরা যখন হাঁটাচলা করি তখন হাঁটু এবং হিপ-এর উপর ভর দিয়েই হাঁটাচলা করি। অতি ব্যবহারজনিত কারণে এই দুই অস্থিসন্ধিতে ক্ষয় দেখা দেয়। গাড়ি যেমন অনেক দিন ধরে চললে তার টায়ার ক্ষয়ে যায় ঠিক তেমনই মানবদেহের ক্ষেত্রেও দীর্ঘ ব্যবহারের দরুন হাঁটুর ক্ষয় হতে থাকে। এখন কার কীভাবে এই ক্ষয় হবে তা নির্ভর করে একজন ব্যক্তির রোজকার কাজকর্ম, তার জিন ইত্যাদির উপর। আবার একজন ব্যক্তি ভৌগোলিকভাবে কোন এলাকার বাসিন্দা ইত্যাদির উপরও খানিকটা নির্ভর করে হাঁটুর ক্ষয়। বয়সজনিত হাঁটুর ক্ষয় হলে তাকে বলে প্রাইমারি অস্টিওআথ্রাইটিস।
আমাদের দেশে হাঁটুর ক্ষয়ই সবচাইতে বেশি পরিচিত সমস্যা। হিপ কিংবা গোড়ালির ক্ষয় কিংবা অন্যান্য ওয়েট বিয়ারিং জয়েন্টের সমস্যার মাত্রা অনেক কম। বিশেষ করে যদি ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান সোসাইটির বিভিন্ন পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে পশ্চিমি দেশগুলিতে হিপ জয়েন্টের সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
হাঁটুর বাতের ধাপ প্রাইমারি নি-অস্টিওআথ্রাইটিস বা বয়সজনিত হাঁটুর বাত হঠাৎ একদিন শুরু হয় না। অনেকগুলি পর্যায় পেরিয়ে নিঅস্টিওআর্থ্রাইটিস হয়। একটি ধাপ রয়েছে যে পর্যায়ের নাম কন্ড্রোম্যালেশিয়া। এক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিতে হাড়ের মাথায় থাকা কার্টিলেজ সম্পূর্ণ ক্ষয়ে যাওয়ার আগে অনেকখানি নরম হয়ে যায়। এই অবস্থা নির্ণয় করা গেলে বা ধরা পড়লে ওষুধ এবং ব্যায়ামের সাহায্যে পরিস্থিতি অনেকখানি ঠিক করা যায় বা পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
অতএব সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে ও ইতিমধ্যে হাঁটুর ক্ষয় শুরু হলে তখন কোনওভাবেই সমস্যা আটকানো যায় না। তাছাড়া অস্টিওআথ্রাইটিসের সমস্যাটি প্রোগ্রেসিভ। অসুখের অগ্রগতি রোধ করা একটু জটিল।
This story is from the 16 March 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 16 March 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত ও নতুন বছর
২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।