স্বপ্নপূরণের বিশ্বজয়

কীভাবেই বা হবে? রাহুলের কেরিয়ারে বিশ্বজয়ের মুহূর্ত আগে কখনও আসেইনি যে!

ক খনও কখনও তীব্র আনন্দেও প্রবল শোকের মতো অসাড় হয়ে যায় মন। দুলে ওঠে হৃদয়, অবশ হয়ে যায় সুখে। প্রাণে খুশির তুফানকে ধরেবেঁধে রাখে কার সাধ্যি ! বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া এমনই পাগলপারা অনুভূতি। ভয়ভাবনা-উদ্বেগের হার্ডল টপকে যা পৌঁছে দেয় অন্য জগতে। উদাসী হাওয়ায় মুহূর্তে হারায় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ। শব্দ হাতড়ে বেড়ায় ভাষা। উচ্ছ্বাসের তীব্র অভিঘাতে আপনা থেকেই ঘটে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা। ভাবনার অগম্য বেখাপ্পা আচরণেই সবুজ সঙ্কেত জানায় মস্তিষ্ক। পরে মনে হয় এটা কী হল!

২৯ জুনের বার্বাডোজ এরই সাক্ষী। নাহলে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তে কেনই বা রোহিত শর্মা পিচ থেকে খানিকটা মাটি খুবলে নিয়ে চেখে দেখবেন? সুস্থ মস্তিষ্কে কেউ মাটি খায়? চোখ উল্টে জিভ বের করে সন্তানের সঙ্গে ভিডিও ফোনে মজা করছেন বিরাট কোহলি, এমন ছবিও তো কল্পনাতীত। কিং নয়, তিনি যেন জোকার! সযত্নে তৈরি করা ইমেজ একটানে ছিঁড়ে ফেলে কাপ হাতে রাহুল দ্রাবিড়ের আস্ফালনের ব্যাখ্যাই বা কী? ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতে বিলেতে সৌরভের জামা খুলে ওড়ানোর মতোই মুখের ভঙ্গি চিরকালের শান্তশিষ্ট, ভদ্রতার প্রতিমূর্তি দ্য ওয়ালের! মেলানো কঠিন, বিশ্বাস করা আরও শক্ত। আসলে কাপজয় এমনই মায়া কাজল যে, ছকেবাঁধা গণ্ডির বাইরে ছুটবেই মন। যাবতীয় যুক্তি, বুদ্ধি, বিচারবোধ মুহূর্তে হ্যাঁচকা টানে ডোবাবে পাশের অতলান্তিক মহাসাগরের অতলান্তে।