চিকিৎসক হওয়ার সুবাদে কাটিয়েছি সুদীর্ঘ কর্মজীবন। সরকারি হাসপাতালে কাজের সুবাদে বলতে পারি, প্রায় ২০ জন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে পেরেছিলাম শুধু সিপিআর দিয়ে। তবে হৃদস্পন্দন বন্ধ অবস্থায় যারা হাসপাতালে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে আমার বা আমার সহকারীদের অভিজ্ঞতা খুবই দুঃখজনক। এদের জন্য প্রায় কিছুই করার থাকে না, মৃত ঘোষণা করা ছাড়া। কারণ যতক্ষণে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে, ততক্ষণে তাদের শ্বাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চোখের মণি প্রসারিতআলো ফেললে স্থির। ঘটনার ইতিহাস জানতে গিয়ে শুনেছি, ওই সব ব্যক্তিরা বাড়িতেই মারা গিয়েছে। কয়েকজন রাস্তায়। প্রশ্ন হল, সত্যিই কি এদের জন্য কিছুই করা যায় না ? বহু ক্ষেত্রেই দেখেছি, মৃতদের মধ্যে অনেকের বয়স খুবই কম। এভাবে উৎপাদনশীল বয়সে মানব সম্পদ হারানোর ঘটনা সমাজের পক্ষেও ক্ষতিকর।
পৃথিবীতে প্রায় ৮৮ শতাংশ (ভারতে আরও বেশি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হৃদযন্ত্র বন্ধের মতো ঘটনা ঘটে হাসপাতালের বাইরে, তার মধ্যে আবার বেশিরভাগ ঘটে বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকেরাই যদি সিপিআর দিতে পারে তাতে রোগীর প্রাণ রক্ষার সম্ভাবনা থাকে। তবে রাস্তাঘাটে বা অপরিচিতদের মধ্যে থাকার সময় কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে ভালো হয় পুলিস ও নিরাপত্তারক্ষীরা অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারলে। তাই চিকিৎসাকর্মী, রক্ষী, পুলিস নির্বিশেষে এই পদ্ধতি শেখা এবং যথাশীঘ্র তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা দরকার। কারণ একবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তারপর প্রতি মিনিট দেরির জন্য প্রাণ রক্ষার সম্ভাবনা ৭-১০ শতাংশ হারে কমে। অথচ সিপিআর দিতে দিতে ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে আনা যায়। প্রাণ বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ে।
আজকাল বহু সংস্থা নিজ নিজ জায়গায় সিপিআর শেখানোর ব্যবস্থাও করে। কিন্তু এই পদ্ধতির ব্যাপক প্রচার ও প্রসার না হলে দুর্ভাগা মানুষগুলির মৃত্যু ঠেকানো মুশকিল।
This story is from the 14 December 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 14 December 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
এক বিপন্ন জার্নালের ইতিকথা
১৯৫৫ সালের ডায়েরি মূলত তাঁর হাসপাতালে দিনযাপনের পঞ্জি। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অতুল গুপ্ত, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুলেখা সান্যাল, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মুজফ্ফর আহমেদ—সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বৃত্তের প্রচুর শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে তাঁর কথালাপের প্রসঙ্গ বারবার ঘুরেফিরে এসেছে।
ধ্বংসলীলাও উপভোগ্য?
স্লাভুটিচ শহরটি চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর জন্ম নেওয়া এক স্মৃতিস্তম্ভ, যেখানে ধ্বংসের পরও জীবন ফিরে এসেছে। আজ এটি \"ডার্ক ট্যুরিজম\" এর অন্যতম আকর্ষণ, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ভয়ঙ্কর ইতিহাসের মাধ্যমে।
প্রাণ রক্ষায় কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর
চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারলেও, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে হাসপাতালে আনা রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু করা সম্ভব হয় না। তবে সিপিআর জানলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
খেতাব জিতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু সিন্ধুর
পিভি সিন্ধু ২৮ মাস পর শিরোপা জেতার পাশাপাশি ২২ ডিসেম্বর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উদয়পুরে শুরু হতে চলেছে তাদের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে, এবং হায়দরাবাদে হবে রিসেপশন।
গুয়ার্দিওলাই হলেন ফুটবলের চে গেভারা
পেপ গুয়ার্দিওলা, ফুটবল বিশ্বে একজন বিপ্লবী কোচ, যিনি সিটি কোচ হিসেবে কঠিন সময়েও নিজের বিশ্বাস হারাননি এবং মাঠে নতুন পথ খুঁজে সাফল্য অর্জন করেছেন।
কবি ও কাব্যে রামায়ণ
সম্প্রতি গৌড়ীয় নৃত্য ভারতীর আয়োজনে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মজয়ন্তী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে 'দ্য রামায়ণ র্যাপসোডি' শীর্ষক এক নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হয়, যেখানে মেঘনাদবধ কাব্যও মঞ্চায়িত হয়।
ব্রতী-র অঙ্গবিহীন আলিঙ্গনে
রবীন্দ্রসদনে অপালা বসু সেনের নির্দেশনায় ‘গন্ধ-বেদনে’ অনুষ্ঠানটি অসাধারণ ছন্দে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নানা দিককে ফুটিয়ে তোলে। রবীন্দ্রগান, নৃত্য ও আবৃত্তির মাধ্যমে এক অপার্থিব অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়।
সেটে কাপুর সাহাবের মেজাজ মুহূর্তে বদলে যেত
রাজ কাপুরের মতো মহান চিত্রনির্মাতার সঙ্গে চার বছর কাজ করা ছিল আমার জীবনের বড় সৌভাগ্য। তাঁর কঠোরতা, প্যাশন আর স্নেহ আজও আমার কাছে অনুপ্রেরণা।
পুষ্পার অন্দরে
“পুষ্পা: দ্য রাইজ” ছবির মাধ্যমে আল্লু অর্জুন প্যান ইন্ডিয়ান তারকা হয়ে ওঠেন, এবং ছবিটি জাতীয় পুরস্কার জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করে।
আনন্দীর ফ্লোরে আদর্শের আনন্দগান
আনন্দী”-র পর্দার উত্তেজনা আর বাস্তবের মিষ্টি বন্ধুত্ব—অন্বেষা ও ঋত্বিকের জীবনের রঙিন গল্পে মিশেছে দায়িত্ব ও সম্পর্কের নতুন মাত্রা।