শরীরের ব্যথা হল একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি যা সবাইকে কখনও না কখনও ভোগায়। জীবনে ব্যথা পাননি এমন মানুষ হয় না, সে শারীরিক বা মানসিক যা-ই হোক না কেন, আসলে ব্যথা হল রোগের লক্ষণ। এর থেকে আমরা বুঝতে পারি শরীরের ভেতরে কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে। হঠাৎ ব্যথা শুরু হলে কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ রাখলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায় এবং ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করালে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরীরের সাধারণ কিছু ব্যথা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।
১) মাথার ব্যথা: মাথাই সব কিন্তু হঠাৎ টের পেলেন ঘুম থেকে উঠে মাথার যন্ত্রণা, তখন দিনটিই খুব খারাপ যায়। এই মাথার যন্ত্রণা দু’ধরনের হয়— প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারিতে মাথার যন্ত্রণাটি মূল সমস্যা হল, যেমন মাইগ্রেন, ক্লাস্টার হেডেক, সাইকোেজনি হেডেক। আর সেকেন্ডারি হেডেক হল মস্তিষ্কের ভেতরে কোনও জটিল রোগ থাকলে তার লক্ষণ। যেমন, ব্রেন টিউমার, মেনিনজাইটিস, ব্রেনে জল জমা ইত্যাদি। সাধারণত যে ধরনের মাথার যন্ত্রণা বেশি হয় সেগুলির চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা যায়।
২) মাইগ্রেন: এর লক্ষণ হল মাথার একদিকে অথবা দু'দিকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, সেই সঙ্গে চোখের পিছনেও প্রচণ্ড ব্যথা, বমিভাব, আলো এবং আওয়াজ সহ্য হয় না। এটার ট্রিগারিং ফ্যাক্টর ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্নরকম হতে পারে।
চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিতে মাইগ্রেনের চিকিৎসা খুবই ফলপ্রসূ। ন্যাটমিউর, ল্যাগেসিস চিওন্যানথাস, সিপিয়া, মেডোরিসস ইত্যাদি ওষুধে ভালো কাজ দেয়। প্রাথমিকভাবে ডানদিকে ব্যথা হলে সাংসেন ২০০ এবং বাঁদিকে হলে স্পিগেলিয়া ২০০ খাওয়া যায়। ৩) টেনশন টাইপ হেডেক: মাইগ্রেনের মতোই এটিও একটি রোগ। তবে এর সঙ্গে টেনশনের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরো মাথা জুড়ে ব্যথা মনে হয়, কেউ যেন চাপ দিয়ে রেখেছে।
চিকিৎসা: লক্ষণ অনুযায়ী ন্যাটগ্রুপ শ্লোনয়েন, সুরুকুকু ইত্যাদি কাজ দেয়। বেলেডোনা ৩০ প্রাথমিকভাবে কাজ দেয়।
৪) সাইকোেজনিক হেডেক: হেডেকের কারণ যখন স্ট্রেস, টেনশন, লক্ষণ অনুযায়ী স্ট্যাকিমাইগ্রিয়া, ইগনেশিয়া, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম ইত্যাদি ভালো কাজ দেয়। জেলসিমিয়াম ২০০ ওষুধটিও ভালো কাজ দেয়।
This story is from the 27 July 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 27 July 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সুন্দরবনের মধু ও মৌলে
সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের জীবন সংগ্রাম ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের এক বিস্তারিত চিত্র ফুটে উঠেছে ‘সুন্দরবনের মধু ও মৌলে’ নিবন্ধে। দলবদ্ধভাবে জঙ্গলে প্রবেশ, বনবিবির আরাধনা, মৌমাছির গতি পর্যবেক্ষণ, এবং সতর্কতার সঙ্গে মধু সংগ্রহ—এই প্রক্রিয়াগুলি তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও সাহসিকতাকে তুলে ধরে। তবুও, বাঘ ও কুমিরের আক্রমণের ঝুঁকি তাঁদের জীবনের নিত্যসঙ্গী।
ভি ল্ল তী র্থ
সুরধুনী গঙ্গার দক্ষিণ তীরে শ্রীগিরি পর্বতের উত্তর দিকে ঋষিগণ পূজিত আদিকেশ শিবলিঙ্গ বিরাজমান ছিলেন। সেখানে এক ভক্ত ব্যাধের অপ্রচলিত কিন্তু আন্তরিক পুজো শিবের হৃদয় জয় করে। ঋষি বেদের নিষ্ঠাবান পুজোর পাশাপাশি ব্যাধের ভালবাসা ও গভীর ভক্তি শিবকে সমানভাবে সন্তুষ্ট করে। শিব তাঁদের দুজনকেই আশীর্বাদ প্রদান করেন এবং ব্যাধের নামে সেই স্থান পরিচিত হয় \"ভিন্নতীর্থ\"। এই কাহিনি শিবের ভক্তির প্রকৃত অর্থ এবং আন্তরিকতার মর্ম শেখায়।
প্রেম ও অহিংসার ভাবনা
“সম্মিলিত ভিক্ষুদের মতামতই সঙ্ঘের প্রকৃত শক্তি। তোমরা সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে সঙ্ঘ পরিচালনা কর। এই কথার মাধ্যমে বুদ্ধদেব তাঁর শেষ বাণী প্রদান করেন। এরপর মহাপরিনির্বাণ লাভ করে, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। কুশীনগরে তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন হয়। বুদ্ধের প্রেম ও অহিংসার ভাবনা চিরকাল মানুষের হৃদয়ে জেগে থাকবে।”
মৃত্যুর আগে মানুষ কী কী অনুভব করে ?
জাগতিক চিন্তায় যারা ব্যস্ত, সর্বদা টাকা টাকা করছেন, লোক ঠকানো, হেনস্তা করা, এমন মানুষের শরীরে হঠাৎ জড়ত্ব ধরে। তাঁরা অচেতন হয়ে দীর্ঘকাল থাকেন এবং শরীরের দুর্ভোগ বুঝতে পারেন না। কিছু মানুষের থাকে দেবচৈতন্য। তাঁরা মৃত্যুর আগাম সংকেত পান। শেষ সময়ে জাগতিক দায়দায়িত্ব উত্তরসূরিদের হাতে দিয়ে যান। আর এক দল আছেন মৃত্যুমুক্ত। শ্রীঅরবিন্দের দেহত্যাগের পর অনুরাগীরা দেখেন তাঁর শরীর আলোকময়! আনন্দময়ী মায়ের শরীরত্যাগের পর তিনদিন ধরে তাঁকে ঘিরে ছিল সাদা আলোর বলয়। সাধারণ মানুষও টের পান শেষ ক্ষণের আগাম বার্তা। তখন তাঁরা কী দেখেন? কারা মুক্ত হন? কিন্তু বাসনা যাঁদের প্রবল, তাঁদের কী এ সংসারে ফিরে আসতেই হবে। লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বাঙালির সেই গৃহ সহায়করা
এই লেখাটি বাংলার একান্নবর্তী সংসার এবং বনেদি পরিবারের ভৃত্যদের জীবন ও তাদের সাংস্কৃতিক প্রভাব নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ বিস্তৃত বিবরণ। এটি ঔপনিবেশিক সময়ের সামাজিক পরিবর্তন, কর্মজীবন ও মানুষের আন্তঃসম্পর্কের মর্মান্তিক এবং মজাদার দিকগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্যুমেরাং
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মোড়া পাহাড়ি রাস্তা, যেখানে রোমাঞ্চ আর ভয় একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে। সরু, আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে দেখা মেলে তিস্তার চঞ্চল প্রবাহ আর ফুলে ঢাকা পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এমন এক পরিবেশে চিরন্তন আর তৃষা তাদের গোপন অভিসারে নিমগ্ন, জীবন আর সম্পর্কের টানাপোড়েনকে সাময়িক ভুলে। কিন্তু হঠাৎ এক অপ্রত্যাশিত দৃশ্য তাদের সুখস্মৃতি বিঘ্নিত করতে পারে।
পাহাড়িয়া পাঁচমারি
বর্ষার স্নিগ্ধ দিনে মেঘমল্লারে মেঘের গান আর জঙ্গলের পথে হারিয়ে যাওয়ার মন্ত্রমুগ্ধ আমন্ত্রণে ঘুরে আসা হলো ‘সাতপুরার রানি’ পাঁচমারি। পুরাকথার ছোঁয়া, ব্রিটিশ আমলের ছাপ আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মোড়া এই শৈল শহর যেন এক টুকরো রূপকথা। পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনা আর রহস্যময় গুহার সংমিশ্রণে পাঁচমারি একবার দেখলে মনের মণিকোঠায় চিরস্থায়ী হয়ে যায়।
এক বিপন্ন জার্নালের ইতিকথা
১৯৫৫ সালের ডায়েরি মূলত তাঁর হাসপাতালে দিনযাপনের পঞ্জি। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অতুল গুপ্ত, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুলেখা সান্যাল, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মুজফ্ফর আহমেদ—সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বৃত্তের প্রচুর শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে তাঁর কথালাপের প্রসঙ্গ বারবার ঘুরেফিরে এসেছে।
ধ্বংসলীলাও উপভোগ্য?
স্লাভুটিচ শহরটি চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর জন্ম নেওয়া এক স্মৃতিস্তম্ভ, যেখানে ধ্বংসের পরও জীবন ফিরে এসেছে। আজ এটি \"ডার্ক ট্যুরিজম\" এর অন্যতম আকর্ষণ, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ভয়ঙ্কর ইতিহাসের মাধ্যমে।
প্রাণ রক্ষায় কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর
চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারলেও, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে হাসপাতালে আনা রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু করা সম্ভব হয় না। তবে সিপিআর জানলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।