ধুপধাপ করে নামতে লাগল। সিঁড়ির উপর থেকে চিৎকার, ‘ধর ওটাকে, ধর। আগেও মরতে গেছিল।' অন্য ডাক কানে এল, 'চল, ম্যানেজারের ঘর...। ধর্নায় বসি।' 'লাভের লাভ কিস্যু হবে? শুধু কথার খই ফুটাবি'। মনের কথাগুলো শূন্যে ভাসিয়ে দিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াল সমর। প্রচণ্ড গরম। খাঁ খাঁ চারদিক। লু বইছে। মে মাসের দু’তারিখ। দেড় মাস বৃষ্টি নেই। শহর এমন গরম আগে দেখেনি। হিটস্ট্রোকে পটাপট মরে গেল কত। মরা মানুষের হিসাব কে রাখে!
মানুষ মারা রোদের তাত গায়ে লাগেনি এতক্ষণ। উপরে মোটা দেওয়ালের ঘর। গরম কম। এখন রাস্তায় দাঁড়াতেই গা জ্বলছে। আগুনের হলকা পুড়িয়ে দিচ্ছে কান মাথা। রোদ মাথায় লাগতেই ব্যথা শুরু হল। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। একটা ঢোঁক গিলল সমর। কী করব, কোথায় যাব? ভাবতে ভাবতে বুক খালি করা একটা শ্বাস বেরিয়ে এল। কয়েক পা ডানদিকে সরে গিয়ে একটা দোকানের সিঁড়ির নীচে দাঁড়াল।
সেখানেও গনগনে রোদ সোজাসুজি এসে হাতুড়ি পিটছে। কপালের দু’পাশটা নিমেষে দপদপ করে উঠল। একটু সরে গিয়ে ছায়ার নীচে দাঁড়াই, ভাবল সমর। পরক্ষণেই বলল, মরব যখন, এসব ভাবলে চলে!
কাঁধের ব্যাগে দুপুরের টিফিন, জলের ছোট বোতল। ব্যাগের মধ্যে চেনটানা ছোট খুপরিতে দু'মাসের বেতন। গলায় একটু জল ঢালবে কি না ভাবছে। তখনই একটা ফাঁকা বাস সামনে এসে খস করে ব্রেক কষল। দরজার দুই হ্যান্ডেল ধরে অর্ধেক শরীর বেতের মতো বাইরে বাঁকিয়ে খালি গায়ে কন্ডাক্টর চিৎকার করছে ‘বারাসত বারাসত।' কিছু না ভেবে দুম করে উঠে পড়ল সমর। সিটে হেলান দিয়ে গরমের ছ্যাঁকা সহ্য করে এক ঢোঁক জল গলায় ঢালল। পিপাসা মিটল খানিক কিন্তু শরীর জ্বলছে। আগুনে বাতাস পুড়িয়ে দিচ্ছে সব কিছু। শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর, নদী, গাছপালা। কোথাও কোনও গাছের নীচে ছায়ায় বসা উচিত। কিন্তু মরব যখন, ওসব ভেবে কী লাভ! মনে মনে কথা বলতে বলতে বাইরেটা দেখছিল। কখন চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, জানে না। চোখ খুলতেই অন্য জায়গা। রাস্তার ডান দিকে খানিক দূরে একটা মাঠ। একপাশে পুকুর আর দূরে ফুল ভর্তি একটা ঝাঁকড়া গাছ। কী গাছ, বোঝা যাচ্ছে না। কয়েকটা গোরু ছায়ায় বসে। -কোন জায়গা এটা? -কোথায় নামবেন? গলায় জড়ানো গামছায় মুখের ঘাম মুছে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছড়ল কন্ডাক্টর।
This story is from the 7 September 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 7 September 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।