বেএসেছে। রিলি রেলস্টেশন থেকে শহর পেরিয়ে যখন পিলিভিটে প্রবেশ করলাম, ততক্ষণে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নেমে চারপাশটা অন্ধকারে অন্ধকারে ডুবুডুবু। আমাদের ছ'সিটের ইনোভা গাড়ির হেডলাইট পথ দেখিয়ে নিয়ে চলল। দু'পাশে জঙ্গল। মোবাইল ফোনটার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠিক যা ভেবেছিলাম তাই! নেটওয়ার্ক বিন্দুমাত্রও নেই। কিছুটা পথ এই ভাবে চলার পর লোকালয় এল। দোকানে আলো জ্বলছে, ঘরবাড়ি, পাকা দালান। নেটওয়ার্কও ফিরে পেলাম। খানিকটা যাওয়ার পর গাড়িটা বাঁক নিল বাঁদিকে। সরু রাস্তা! লোকালয় ছাড়িয়ে আবার মাঠঘাটের মধ্য দিয়ে চললাম। অন্ধকার চোখে খানিকটা সয়ে এল। দু'পাশে আবছা মাঠ-জলা-বনবাদাড় টের পাচ্ছি। এক সময় দূরে অন্ধকারে একটা আলোর বিন্দু ফুটে উঠল। মনে হল বোধহয় গন্তব্যে এসে গেছি!
আপাতত আমাদের গন্তব্য মুস্তফাবাদ— পিলিভিট জাতীয় উদ্যানে বন দপ্তরের অফিস। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট আর শাহজাহানপুর জেলার অন্তর্গত এই অরণ্য ভারত আর নেপালের সীমান্তে। বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে ফরেস্ট ক্যাম্প। ক্যাম্পের বিশাল প্রাঙ্গণের এক পাশে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াতেই দূর থেকে এক জন মানুষ ছুটতে ছুটতে আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। সামনে আসতে দেখলাম লোকটি জংলা পোশাক পরে আছেন। মাথায় টুপি। নিজেই পরিচয় দিলেন। এই জঙ্গলের প্রকৃতিবিদ। নাম, রহমত শাহ। গাড়ি বদল করে লটবহর নিয়ে খোলা জিপসিতে উঠলাম। যেতে হবে চুখা-য়, আধ ঘণ্টার পথ। রহমত আমাদের রওনা করিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। বললেন, সকালে চুখায় আসবেন। গাড়ি চলতে শুরু করল। মাথার উপর খোলা আকাশে কত তারা! ভরা সন্ধেয় প্রাণজুড়ানো মৃদু শীতল বাতাস বইছে।
This story is from the April 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।