নীল আরব সাগর আর পশ্চিমঘাটের ঘন সবুজের গা ছুঁয়ে পড়ে থাকা ১০৫ কিলোমিটার ব্যাপী প্রায় ৪০টি অনন্য সুন্দর সোনালি বালুকাবেলা- সেই তো গোয়া! নয়নজুড়ানো প্রকৃতি, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, বর্ষায় অবিরাম বৃষ্টির আমেজ গোয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। গোয়ায় বেড়ানোর জন্য আমাদের হাতে আছে ৬ দিন।
গোয়া বলতেই প্রথমে আনজুনা, কালাঙ্গুটে কোলভা, বাগা, কান্ডোলিম প্রভৃতি অসাধারণ সৈকতগুলির কথা প্রথমে মনে আসে। কিন্তু এগুলির তুলনায় উত্তর ও দক্ষিণ গোয়ার অপেক্ষাকৃত নির্জন সৈকতগুলি কোনও অংশে কম সুন্দর নয়! আমরা ভ্রমণ শুরু করব দক্ষিণ গোয়ার কানকোনাতে শান্ত ও নির্জন পালোলেম থেকে। গোয়ার রাস্তাঘাট খুবই সুন্দর। নিজে চালানোর শর্তে (সেল্ফ ড্রাইভ) গাড়ি ভাড়া করে, বাইক বা স্কুটিতে ঘুরলে সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে।
পালোলেম মুম্বইয়ের এলটিটি কুরলা থেকে ট্রেনে মাডগাঁও,তারপর সারা রাত খোলা ট্যাক্সি কাউন্টার থেকে গাড়িতে পালোলেম ৩২ কিলোমিটার। হোটেলের ঘরে লাগেজ রেখে সাগরবেলায় পৌঁছতেই প্রকৃতির সামুদ্রিক সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যাবে। আরব সাগরের ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এসে ভিজিয়ে যায় তট। ভোরে পৌঁছলে দেখবেন দুয়েকটা জেলেনৌকো ফিরে আসছে ধীরে। পাশেই কফিশপে চা পান করতে করতে দেখতে পাবেন সকালে পর্যটকদের ডলফিন দেখিয়ে ফিরিয়ে আনছে নৌকো। পালোলেম থেকে নৌকো করে দেখে নিন ডলফিনস পয়েন্ট, টরটয়েজ রক, বাটারফ্লাই বিচ, গণেশ রক ও হানিমুনারস কেভ। দিন গড়ালে বোটের দৌরাত্ম্যে সমুদ্রতীর থেকে ডলফিনের ঝাঁক দেখার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তখন তাদের দেখতে হলে সমুদ্রের গভীরে বেশ অনেকটা দূরে যেতে হবে। আরব সাগরে অসাধারণ সূর্যাস্ত দেখে ফেরার সময় সমুদ্র থেকে ইতিউতি আলোর মালায় সাজানো পালোলেমকে অপূর্ব দেখায়।
This story is from the July 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।