দুসপ্তাহের ছুটি পাওয়া গেল। আর সেই সুযোগে উড়ে চললুম পর্তুগালে। তবে লিসবন বা পোর্তোর মতো বড় শহরগুলোয় ঘুরতে নয়। খুদি খুদি গ্রাম আর আটলান্টিকের নীল জলরাশির হাতছানি যেখানে, সেই আলগার্ভ অঞ্চলে। দক্ষিণ উপকূলবর্তী এই অঞ্চল ভালো করে ঘুরে দেখার জন্য দু'ইপ্তাও বেশ কম সময়।
আলগার্ভের ছিমছাম ফারো বিমানবন্দরে নেমেই টের পেলাম বেশ খিদে পেয়েছে। সকালে জলখাবার খাওয়া হয়নি। এয়ারপোর্টে একটা খাবারের দোকান দেখে এগিয়ে গেলাম। শিঙাড়া ভেজে রাখা আছে, চোখে পড়ল। ওরা বলে 'সামুসা'। ভিতরে মাংস আর সবজির পুর। একটা খেয়ে এত ভালো লাগল, আর-একটা খেয়ে ফেললাম! কফির স্বাদও দারুণ ভালো। সেই সঙ্গে স্থানীয় দুটো শব্দ শিখে ফেললাম— “ওলা' আর 'ওব্রিগাডা', হ্যালো আর ধন্যবাদ।
জলখাবার খেতে খেতে ড্রাইভারের ফোন পেলাম। গাড়ি আগে থেকেই বলা ছিল। কিন্তু সেখানে একটু গোলমাল ঘটল। জার্মানি আর পর্তুগালের সময়ে যে এক ঘণ্টার পার্থক্য সেটা খেয়াল হয়নি। চালক একটু বিরক্ত হলেও, ভুল বোঝাবুঝির জন্য বেশ কয়েক বার মার্জনা চাইতে স্বাভাবিক ভদ্রজনোচিত ভঙ্গিমায় হেসে বললেন, 'এরকম হয়েই থাকে ! তারপর যেতে যেতে কত গল্পই না হল, দেশ কাল সমাজ সম্পর্কে! ভদ্রলোক ভারি পরিবেশ সচেতন ! শহরে হোটেলের বাড়বাড়ন্ত, নগরকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা তাঁর মোটে পছন্দ নয়। বললেন, ‘পর্তুগালে প্রত্যেক গ্রীষ্মে গরমের তীব্রতা বাড়ছে। বৃষ্টি হচ্ছে না, চাষবাসের ক্ষতি হচ্ছে।'
দু'পাশে অনুচ্চ উপত্যকা, গাছপালা ঘেরা পরিষ্কার মসৃণ রাস্তা বেয়ে গাড়ি ছুটছিল। চাষবাস আর পর্যটন, এই দু'টিই পর্তুগালের আয়ের মূল উৎস। ফারো থেকে আমাদের গন্তব্য প্ৰায়া ডা লুজ। ঘণ্টাখানেকের রাস্তা। দূর থেকে মনোমুগ্ধকর নীল জল দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠল।
এ ক'দিনের আস্তানা, দোতলা বাড়িটার বারান্দায় দাঁড়ালেই সমুদ্র দেখা যায়। নীচের তলায় বেডরুম, উঠোন, বাথরুম, উপরে বসার ঘর, এক চিলতে রান্নাঘর, বারান্দা। বাড়িটা নিখুঁত ভাবে সাজানো। চায়ের ছাঁকনি থেকে বাসনপত্র, ছোট্ট ফ্রিজ থেকে ওয়াশিং মেশিন, জামাকাপড় টাঙাবার ক্লিপ পর্যন্ত, সব খুঁটিনাটি জিনিসপত্র রয়েছে।
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।