মোৎসার্টের বাড়িগুলি কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা উলফগ্যাং ফন আমেদেউস মোৎসার্টের তেরোটা বাড়ি ছিল ভিয়েনায়। আর সালসবুর্গ, যা মোৎসার্টের জন্মস্থান, সেখানে আরও গোটা কয়েক। একটা বাড়িতে উনি জন্মেছিলেন, তো অন্য বাড়িতে থেকেছিলেন বেশ কয়েক বছর। ইউরোপ বলে কথা! ব্যাপারটা শুধুই দাবি বা পাল্টা দাবিতে মিটবে কেন? তাই নিপুণ পরিবেশনে অসংখ্য তথ্য আর প্রচুর ঐতিহাসিক চরিত্রের সমাবেশে, মোৎসার্ট একেবারে জমজমাট! মিউজিয়ামগুলো মিউজিয়ামগুলো? মিউজিয়ামও ইতনা হ্যায়? তং মত করো! না দেখে যাবেন কোথায় !
হ্যাঁ, সালসবুর্গে দু'টি, ভিয়েনায় একটি, আমিই দেখে ফেলেছি। তাছাড়া রাজকীয় মিউজিয়ামেও আছে মোৎসার্টের উপরে তথ্যাবলি। সালসবুর্গে আছে মোৎসার্টের পিয়ানো, অর্গ্যান, আরও বেশ কিছু বাজনা ।
প্রতিটির তথ্যবহুল লেবেলিং সহ এত্ত এত্ত পুরনো জিনিস সুসংরক্ষণের এমন বাতিক ইউরোপের, যে, খাতার পর খাতায় কালো কালিতে, সূক্ষ্ম নিবের আঁচড়ে, সেই প্রাক-ফাউন্টেন পেন যুগের কলমকারিতে গোটা গোটা সিম্ফনির শিল্পিত নোটেশন লিখে রাখা আছে, তাও দেখতে পাবেন। কোথাও অজস্র উদাহরণ ‘বাবুদের’ বিনোদনের। ছোট ক্যামেরার মতো ফুটোয় চোখ লাগিয়ে দেখো—। সেই যে, পাড়ায় পাড়ায় এক সময় আসত বায়োস্কোপ বলে সিনেমা বাক্স, বাইরেটা চক্রাবক্রা রংচঙে, আর ভিতরে ছবি ফিরত একের পর এক, পালা করে ঘুরে ঘুরে, পিছনে বাজত বাজনা— মোৎসার্ট মিউজিয়ামেও ছিল তেমনই! দূর থেকে টু-ডি বা দ্বিমাত্রিক ছবিগুলো পর পর আগে পিছে করে সাজানো, ফুটোয় চোখ রাখলেই ত্রিমাত্রিক বা থ্রি-ডির ভ্রম হবে। ঈষৎ অশ্লীল থিম দেখা যাবে, ‘বাবুদের' উপভোগ সামগ্রী যে! নানা পোশাক-পরিচ্ছদে সজ্জিত পুরুষ দেখা যাবে, আর দেখা যাবে কিঞ্চিৎ বেপথু, কিঞ্চিৎ স্খলিতবসনা মহিলাদের। তারা মুখোমুখি হবে, চুম্বনোদ্যত হবে এই টু-ডি ছবির খেলায়, দূর থেকে কাছে আসবে, আবার দূরে চলে যাবে। এ নাটক অভিনীত হতেই থাকবে একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে। ভিয়েনায় মোৎসার্ট হাউজ ট্যুরে যাওয়া যায়। খরচ পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় ১,২০০ টাকা মাথাপিছু। ট্যুর জুড়ে থাকবে সুরের মহারাজার গল্প।
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।