রাত ন'টার মানালি যেন মিনি কলকাতা! তফাত এই, এ বছর জুনের মাঝামাঝি কলকাতায় যখন অসহ্য গরম, এখানে বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া। প্রচুর মানুষের সমাগমে ছোট্ট ম্যাল যেন হাঁসফাঁস করছে। পর্যটকদের অধিকাংশই বাঙালি। রাত গুজরানের জন্য বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি একটা হোটেলে উঠলাম।
এবারের সফরে আমাদের গন্তব্য, পাঙ্গি উপত্যকার তিন অচিন গ্রাম।
কেলংয়ের পথে পরদিন ভোরে মানালি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম। ই ভোর ছ'টার কেলংগামী লোকাল বাসেও বেশ র ভিড়। অগত্যা গাড়ি ভাড়া করে নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে হল। রাস্তাতেও যথেষ্ট যানজট। সোলাং ভ্যালি, রোটাং পাস যাওয়ার ভিড়। রাস্তার ধারে দোকানপাটগুলি খুলে গিয়েছে। অধিকাংশই রেস্তোরাঁ। বেশ কিছু দোকান বরফে খেলাধুলার জন্য ভাড়ায় পাওয়া জ্যাকেট, জুতো, গ্লাভসের। মানালি ছাড়িয়ে গাড়ির চালক জহরকুণ্ডে গাড়ি দাঁড় করালেন। রাস্তার ধারে পাহাড়ের গা বেয়ে একটি কুণ্ড থেকে জল পড়ছে। স্থানীয়দের অনেককেই দেখলাম এই কুণ্ডের জল সংগ্রহ করছেন। আমরাও জল পান করলাম।
সকাল সাতটা বাজে। রাস্তায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। সামনেই সোলাং ভ্যালি। ঘাসে মোড়া উপত্যকায় পাইন, দেওদারের আধিক্য। তারই মাঝে নানান রোমাঞ্চ-ক্রীড়া আয়োজিত হচ্ছে। প্যারাগ্লাইডিং অন্যতম। কয়েক বার বাঁক নিয়ে চলে এলাম অটল টানেলের সামনে। ঢোকার মুখেই বেশ ভিড়। পর্যটকদের মধ্যে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিশাল টানেল পেরতেই প্রকৃতির ভোলবদল ঘটল। বেশ ঠান্ডা লাগতে লাগল। ন্যাড়া পাহাড়ের গায়ে বরফ। সেতুর নীচে বেগবান নদী, চন্দ্ৰ।
প্রাতরাশ করা হয়নি। তাই নদীর পাড়ে গাড়ি দাঁড় করানো হল। জায়গাটা বেশ সুন্দর। চন্দ্র নদীর পাড়ে বসে প্রকৃতিদর্শনের সঙ্গে আলুর পরোটা আর কফির সঙ্গত। এ পথের প্রাকৃতিক দৃশ্যপট আমূল বদলে গেছে অল্প ক্ষণে। চন্দ্র নদীর পাড়ে ছোট ছোট গ্রাম। এমনই একটি গ্রাম, শিশু। পাহাড়ের অনেকটাই নীচে। এখানে সুন্দর একটা জলপ্রপাত আছে। আছে বেশ কিছু হোটেল ও হোমস্টে। তাছাড়া একটা সুন্দর ওয়াটার পার্ক আছে, নানান অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস হয়। নদীর পাড়ে ধাপে ধাপে চাষের জমি। আলু, যব, রাজমার চাষ হচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় আপেলের চাষও হচ্ছে।
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।