কিন্তু প্রতি মাসে পঞ্চাশ ইউরো দিয়ে সেটিকে সক্রিয় রাখতে হয়। এই টিকিটে ট্রেন, ট্রাম ও বাসে ইচ্ছেমতো সফর করা যায়। এরকম একটা টিকিট আমার জন্যও কাটা হল। এর একটা সুবিধা এই, যে-কোনও সময় টিকিটটা ক্যান্সেলও করা যায়।
এবার জার্মানিতে তিনটে বৈশিষ্ট্য আমার চোখে পড়ল, যা আগে নজরে পড়েনি। বাড়িতে অতিরিক্ত আসবাব হয়ে গেলে, যা বাড়ি বদলের সময় বোঝা যায়, আমরা বিক্রির চেষ্টা করি বা কাউকে দিয়ে দিই। ব্রেমেন শহরে দেখলাম এই সব আসবাব বাড়ির বাইরে একপাশে স্তূপীকৃত করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ পথচলতি কারও যদি তার প্রয়োজনীয় কিছু নজরে আসে, তাহলে সে সেই জিনিসটা নিয়ে যেতে পারে। কোথাও আবার কোনও কোনও জিনিসের গায়ে সামান্য কিছু মূল্য লেখা। অর্থাৎ, গৃহকর্তাকে ওই দামটা দিয়ে যেতে হবে।
গৃহস্থ এলাকায় কয়েক জায়গায় নজরে এল, বাড়ির বাইরে পুরনো শো-কেসে বই রাখা। খোঁজ নিয়ে জানলাম, যাঁর বাড়ির বাইরে রাখা, শো-কেসটি তাঁরই, বইপত্রও বেশিরভাগ তাঁর। প্রতিবেশীরাও চাইলে সেখানে বই রেখে যেতে পারে। আবার যে-কেউ এসে বই নিতে পারে পড়ার জন্য। কোথাও কিছু লিখতে হবে না, হিসেব রাখার ব্যবস্থা নেই। শর্ত একটাই, বই পড়ে যে-অবস্থায় নেওয়া হয়েছিল, সেই অবস্থায় ফেরত দিতে হবে।
আরও একটা জিনিস চোখে পড়ল, সেটা তালা! কোনও বিশেষ জায়গায়, সেটা একটা জাল দেওয়া বেড়া হতে পারে, লোহার গ্রিল হতে পারে— শ'য়ে শ'য়ে তালা ঝোলানো। কখনও একটা তালার ভিতর দিয়ে অন্য তালা ঝুলছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে তালার প্রদর্শনী, অথবা বিক্রির জন্য রাখা। আসলে এই বন্ধ তালা একটা সংস্কার। আমরা যেমন মানত করে গাছে সুতো বাঁধি, এখানে লোকেদের বিশ্বাস, তালা বন্ধ করলে, একটা সম্পর্ককে চিরদিনের মতো বেঁধে ফেলা যায়। বিয়ের আগে অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা অনেক সময় সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার জন্য তালা লাগায়।
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।