তানজানিয়ার মৃত আগ্নেয়গিরি গোরংগোরোর চূড়া আনুমানিক পঁচিশ লক্ষ বছর আগে ভয়ংকর লাভা উদগিরণের ফলে ধসে পড়ে সৃষ্টি করে এক সুবৃহৎ গহ্বর বা ক্যালডেরা। হিসেব কষে দেখা গেছে ধসে পড়ার আগে গোরংগোরো আফ্রিকার উচ্চতম পর্বত কিলিমাঞ্জারোর থেকেও উঁচু ছিল। বর্তমানে গোরংগোরো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অটুট আগ্নেয় গহ্বর। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম । ১৯৭৯-তে ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যস্থলের স্বীকৃতি দেয়। গোরংগোরোর গহ্বরে প্রাণীবৈচিত্রও অবাক করার মতো! এই অঞ্চল সেরেঙ্গেটি বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত। তা হলেও, ওই গভীর গহ্বরে কীভাবে এত পশু-পাখি এল, তা ভাবলে আশ্চর্য লাগে। এই গহ্বর ঘিরেই গড়ে উঠেছে গোরংগোরো কনজার্ভেশন সেন্টার।
লেক মানয়ারা থেকে সেরেঙ্গেটি যাওয়ার পথে পড়ে গোরংগোরো। সেই গহ্বরের চক্রবেড় বা রিম দিয়ে রাস্তা প্রায় নব্বই কিলোমিটার। উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৩০০ কিলোমিটার। এই চক্রবেড় থেকেই গহ্বরে নেমে যাওয়ার রাস্তা। তার মুখেই গোরংগোরোর গহ্বর দেখার ভিউপয়েন্ট। ভিউপয়েন্টে নেমে হতবাক হয়ে গেলাম। অনেক নীচে যেন একটা সবুজ বাটি। তার কানা গাঢ় সবুজ, ভিতরটা কোথাও ন্যাড়া জমি, কোথাও ঘন বনাঞ্চল, এক জায়গায় টলটলে জলে ভরা এক জলাশয়। আমাদের গাড়ির চালক তথা গাইড জনসন জানাল, ওই জলাশয়টি একটি ক্ষারীয় লেক। নাম, মাগাদি। সেখানে প্রচুর ফ্লেমিঙ্গো। তবে, গহ্বরের রূপে মুগ্ধ হলেও উপর থেকে কোনও বন্যপ্রাণীর চিহ্ন দেখতে পেলাম না। ছ'শো মিটার উঁচু থেকে তাদের দেখতে পাওয়ার মতো দূর-দৃষ্টিও আমাদের নেই। সেদিন তাই অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। ঠিক হয়ে আছে, ওই গহ্বরে আমরা নামব সেরেঙ্গেটি থেকে ফিরে।
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।