=রলের আজমল শরিফ। খাওয়াদাওয়া, ট্র্যাভেল, বন্ধুবান্ধব, পোষ্য, সব মিলিয়ে তার একটা হ্যাপেনিং লাইফ। একজন সফল ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন ইনস্টা, ফেসবুকে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর হঠাৎই সামনে আসে তাঁর আত্মহননের ঘটনা। মাত্র ২৮ বছর বয়সে থামল তাঁর জার্নি। এখন আপনাদের মনে হতেই পারে, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এমন নেতিবাচক সূচনার কারণ কী! আসলে আজমল শরিফের মৃত্যু নেহাতই কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমেরিকার মিশেল ইয়ং থেকে শুরু করে ছত্তীসগঢ়ের লীনা নাগবংশী— একটা সুন্দর সাজানো-গোছানো সোশ্যাল লাইফ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন আত্মহত্যার অন্ধকারে। কেউ ক্রিয়েটর, তো কেউ মোটিভেশন ও পজ়িটিভিটি ইনফ্লুয়েন্সর। সামাজিক মাধ্যমে এত এত ফলোয়ার, ছবি জুড়ে লাইক-কমেন্টের বন্যা, ভক্তদের উজাড় করা ভালবাসা— তবুও তাঁরা আত্মঘাতী! তাহলে কি প্রতিদিনের পোস্ট, ভিডিয়োয় পজ়িটিভিটির বার্তা, স্বপ্নের মতো সুন্দর একটা জীবন— পুরোটাই মিথ্যে? পুরোটাই ফেক? এই মৃত্যুগুলো আমাদের কিছু ইস্পাত-কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। যে যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্যক্তিগত' যাপনকে সার্বজনীন করাই ‘ট্রেন্ড’, সেখানে কি সত্যিই ‘সবার উপরে মানুষ সত্য' থাকে? নাকি জীবনের অবাঞ্ছিত রূঢ়, বন্ধুর দিকটাকে বালিশ চাপা দিতেই এই দেখনদারির বাড়বাড়ন্ত? অন্যের আয়নায় নিজের মুখ দেখে যে অলীক সুখের সন্ধানে প্রত্যহ ছুটে চলেছি আমরা, সেই ‘ডিজিটাল' মরীচিকার চক্রব্যূহে পথভ্রষ্ট হয়েছে বহু তরুণ প্রাণ। সেই হিসেব কে-ই বা রাখে?
কিছু তথ্য ও জিজ্ঞাসা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়। হিসেব করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫০০ কোটিরও বেশি! বিশ্বের সর্বাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় রয়েছে ভারতও (১৪তম), যেখানে আমরা গড়ে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট সময় ব্যয় করি সোশ্যাল সাইটে। ভার্চুয়াল লাইফকে নিখুঁত ভাবে সাজিয়ে তুলতে মিনিটে মিনিটে চলছে পোস্ট, রিল আরও কত কী! কিন্তু রিল আর রিয়ালের সমতাবিধান কী ঘটছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাল থাকা’র ইঁদুর দৌড়ে আদৌ কি ভাল থাকা যায়? মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক দিকগুলো খতিয়ে দেখলাম আমরা...
This story is from the April 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।