
বিবাহের বন্ধন আসলে দুটো ভিন্ন মানুষের একসঙ্গে ঘর বাঁধার গল্প, যেখানে এক হয় চার হাত। আর সেই সঙ্গে শুরু হয় দুটো ভিন্ন পরিবারের একসঙ্গে পথ চলা। স্বামী-স্ত্রী থেকে বাবা-মা বি হয়ে ওঠার যাপন-নামা। আসে সন্তান লালনের গুরুদায়িত্ব। এ তো না হয় গেল ‘আদর্শ' পরিবারের চিত্র। কিন্তু এই চেনা গণ্ডির বাইরেও যে চলে সভ্যতার নিত্য দিনের যাতায়াত! যেখানে একজন মা বটগাছ হয়ে থাকেন তাঁর সন্তানের মাথার উপর বা একজন বাবা মাতৃস্নেহে লালন করেন তাঁর ছেলেমেয়েকে। ‘পেরেন্টহুড'-এর পরিচিত বৃত্তের বাইরে এঁরাও এক-একজন সফল মা, সফল বাবা। ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে সিঙ্গল মা-বাবাদের নিয়ে। আর সন্তানের চোখে তাঁরাই মা, তাঁরাই বাবা, তাঁরাই গোটা পৃথিবীর সমার্থক! সর্বভারতীয় সমীক্ষা বলছে, ভারতে (২০২০-২১ সাল পর্যন্ত) প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবারের সহায় শুধুই সিঙ্গল মা। ভারতের মোট পরিবারের প্রায় শতকরা ২.৩ ভাগ নির্ভরশীল সিঙ্গল বাবার উপরে। এবং প্রায় ৭.৫ শতাংশ পরিবারের ভরণপোষণ সামলাচ্ছেন 'সিঙ্গল' পেরেন্টরাই। পরিসংখ্যানের নিরিখে বিষয়টির ওজন বোঝা গেলেও, ২০২৪-এ দাঁড়িয়ে আমাদের সমাজ কি ততটা ‘প্রগ্রেসিভ' মানসিকতা বহন করে? সমস্যা সত্ত্বেও আক্ষেপের সুরে কণ্ঠ মেলাতে নারাজ অনেকেই। সমাজের এঁকে দেওয়া নকশার উল্টো স্রোতে হেঁটেছেন তাঁরা। চোখরাঙানি উপেক্ষা করে স্থাপন করেছেন প্রতিস্পর্ধার মাইলস্টোন।
একাই একশো ‘সিঙ্গল পেরেন্ট' শব্দবন্ধের বেশ কিছু আঙ্গিক রয়েছে। আমাদের সমাজে ‘বিবাহ' একটি প্রতিষ্ঠান। সিঙ্গল পেরেন্টহুড বিষয়টা কিন্তু খানিক পৃথক। এ ক্ষেত্রে সন্তানের শারীরিক, মানসিক, বৌদ্ধিক ও আচরণগত দিকগুলো সেই বাবা বা মায়ের উপরেই নির্ভরশীল। বিয়ের পর সম্পর্কে যদি ভারসাম্য না থাকে, তবে অনেকে সেই রিলেশন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চান। মা বা বাবা, কেউ একজন সারা জীবনের জন্য সন্তানের দায়িত্ব নেন। এ তো গেল বিবাহবিচ্ছেদের প্রসঙ্গ। কিন্তু বিয়ে না করেও তো মা-বাবা হয়ে ওঠা যায়। আমজনতা থেকে সেলেব্রিটি, দত্তক নেওয়ার ট্রেন্ড নতুন নয়। উদ্দেশ্য একটাই— দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজের সন্তানকে বড় করে তোলা। আর ঠিক এখানেই দিন দিন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে সিঙ্গল পেরেন্টহুডের ধারণা।
Esta historia es de la edición May 30, 2024 de SANANDA.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición May 30, 2024 de SANANDA.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar

নো ডে উইদআউট আ লাইন
পরেশ মাইতি ও জয়শ্রী বর্মণের জীবন জুড়ে রয়েছে রং আর তুলি। যদিও তুলির টানে, রঙের রেখায় তাঁদের দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু মিলে যান অন্তরের আহ্বানে। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে পারমিতা সাহা।

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ
স্বামী-স্ত্রী-সন্তান, দাম্পত্যনামার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্তানলাভের পরেও কি অটুট থাকে দাম্পত্যের রসায়ন? সম্পর্কের ব্যতিক্রমী প্রবাহে কতটা ‘সুখী’ হয় দাম্পত্যজীবন? বোঝার চেষ্টায় অনিকেত গুহ।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।