
নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আই অ্যাম ৬৫ নট আউট'। রাত দুটো-তিনটে অবধি চলতে থাকে তাঁর কর্মযজ্ঞ। আসলে চূড়ান্ত সফল রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দিনলিপি এরকমই। নিরন্তর ছুটে চলা। তাঁর নিজের কথায়, প্যাশনই তাঁকে ছুটিয়ে চলে প্রতিনিয়ত।
কলকাতায় ন'টি রেস্তরাঁ এবং দুবাই, লন্ডন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে আপনার রেস্তরাঁ। আজ এই পর্যায়ে পৌঁছে সাফল্যকে টিকিয়ে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়? দেখুন, অনেকেই সফল হয়ে যায় এবং বিরাট রোজগার করে। কিন্তু সেই মাপকাঠিতে আমি জীবনকে বিচার করি না। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি, স্ট্রাগল করে বড় হয়েছি। তাই শুধু টাকা রোজগার কোনও দিনই আমার মোক্ষ ছিল না, বরং একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চেয়েছি। মানুষ এসে আমার রেস্তরাঁয় পেট ভরে খায় এবং আবার ফিরে আসে খেতে। এটাই আমার আসল প্রাপ্তি। আমি খেতে ভালবাসি, খাওয়াতেও। আমার বাবাও সেটা ভালবাসতেন। আসলে জানেন তো, টাকা সব কিছু বদলে দেয়। গাড়ি, বাড়ি, ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও। তাই টাকা রোজগারের সৎ উদ্দেশ্য অবশ্যই থাকা জরুরি, তা হলেই টাকা সুখ এনে দিতে পারে। কত খাবারের দোকান তো আসে যায়, কিন্তু আজও অ্যালেনের কাটলেট, নকুড়ের সন্দেশ, কালিকার চপ লোকে লাইন দিয়ে কেনে। শুধুই রোজগারের উদ্দেশে ব্যবসা করলে এটা হয় না। গত তিরিশ বছর ধরে ব্যবসা করছি এবং আমাদের সুনাম ক্রমশ বেড়েছে। তাই বলব সাফল্য ধরে রাখাটা খুব কঠিন, আর তার মূলমন্ত্র হল কনসিসটেন্সি। সেই সঙ্গে নিজেকে কেউকেটা না ভাবা। আমি সকলকে শেখাই যে, আপনি তত ক্ষণ অবধি সুখী হবেন না, যত ক্ষণ না ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ জন্মাবে, অর্থাৎ আমি কোথায় ছিলাম কোথায় এসেছি। অনেকেই পাত্তা দেন না, নিয়মিত ফ্লাইটে চড়ে যাতায়াতকে।
আমি গীতাঞ্জলি ট্রেনে চেপে ৬০০ টাকা নিয়ে বম্বে গিয়েছিলাম। সেই দিনটা আমি আজও ভুলিনি।
কলকাতাকে তো ব্যবসার জন্য বিশেষ উর্বর বলে মনে করেন না অনেকেই। সেখানে এত বছর আগে আপনি কী ভাবে সুপার স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁ তৈরির কথা ভেবেছিলেন?
Diese Geschichte stammt aus der October 30, 2024-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der October 30, 2024-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden

নো ডে উইদআউট আ লাইন
পরেশ মাইতি ও জয়শ্রী বর্মণের জীবন জুড়ে রয়েছে রং আর তুলি। যদিও তুলির টানে, রঙের রেখায় তাঁদের দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু মিলে যান অন্তরের আহ্বানে। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে পারমিতা সাহা।

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ
স্বামী-স্ত্রী-সন্তান, দাম্পত্যনামার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্তানলাভের পরেও কি অটুট থাকে দাম্পত্যের রসায়ন? সম্পর্কের ব্যতিক্রমী প্রবাহে কতটা ‘সুখী’ হয় দাম্পত্যজীবন? বোঝার চেষ্টায় অনিকেত গুহ।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।