নো ডে উইদআউট আ লাইন

একটা বিষয় জানতে খুব কৌতূহল হচ্ছে। এত বড় দু'জন শিল্পীর সাংসারিক জীবন কী রকম? সেটা কি শুধুই রং-তুলি? পরেশ: মানুষ সামাজিক জীব, তার পেশা যা-ই হোক না কেন। সংসার, সন্তান, মা-বাবা সকলকে নিয়েই থাকতে হয়। কাজের জগতে নিজের আলাদা সত্তা কাজ করে। বাকিটা খুবই সাধারণ স্বাভাবিক যাপন। তবে আমাদের চিন্তাভাবনা সব কিছুই আর্ট নিয়েই ঘোরাফেরা করে।
জয়শ্রী: আমাদের মনে প্রাণে কাজে রং তুলি। এ ছাড়া আমরা আর কিছু জানি না। কিন্তু যেহেতু আমি একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি, মা-বাবার মধ্যে নিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ দেখে এসেছি, আমার মধ্যে সেই সংস্কার ভীষণ ভাবে রয়েছে এবং আমার সব কিছু অর্গানাইজড। শিল্পী বলে এটা করব না বা ওটা করব না, তা নয়। পরেশও আমার মতো ডিসিপ্লিনড। আমাদের মধ্যে সেই ভারসাম্যটা রয়েছে।
আপনাদের সম্পর্কের শুরুর কথা জানতে চাইব....
জয়শ্রী: পরেশের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব ছিল আমার বাবা (সত্যপ্রসাদ রায়বর্মণ, খাদিম'স-এর কর্ণধার), বিশেষ করে আমার কাকা এবং ভাইয়ের। ও যখন কলেজে পড়ছে, এগজ়িবিশন করছে। আমার বাবা ওর কাজ খুব পছন্দ করতেন। বলতেন, ‘এই ছেলে খুব বড় হবে।' আমাদের বাড়িতে ওর যাতায়াত ছিল। মাত্র আঠারো বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়েছিল, অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ছিল। ইট ওয়াজ় আ ভেরি আনহ্যাপি ম্যারেজ। আই লিভড সেভেন্টিন ইয়ার্স অব মাই লাইফ উইথ দ্যাট জেন্টেলম্যান। আমার সেই স্ট্রাগলের কথা পরেশ জানত। আমাদের প্রেম কখন হয়েছে বলা মুশকিল। আমার মধ্যে একটা শূন্যতা ছিল, পরেশেরও হয়তো ছিল। আমরা পরস্পরের দুঃখ এবং আনন্দ বন্ধুর মতো ভাগ করে নিতে পেরেছি, যেটাই '৯৯ সালে পরিণতি পায় বিয়েতে। আমার মা-বাবা এবং পরেশের মা-বাবা দু'তরফই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের গ্রহণ করেছেন
পরেশ: জয়শ্রীর কাকু (শক্তি বর্মণ) ও কাকিমার সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। আমার শিক্ষক গণেশ হালুই ছিলেন জয়শ্রীদের পারিবারিক বন্ধু। ওঁর বাড়িতে জয়শ্রীর সঙ্গে দেখা হত।
জয়শ্রী: আমার ছেলে হৃদ (বর্মণ) নামী ফোটোগ্রাফার, ও-ও পরেশের খুব কাছের মানুষ। পরেশ: ছোটদের সঙ্গে আমি খুব ভাল মিশতে পারি আর সবাই আমাকে দাদা বলে। হৃদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বন্ধুর মতো। আমরা ফোটোগ্রাফ, আর্ট লাইট, ক্যামেরা সব কিছু নিয়ে আলোচনা করি।
This story is from the February 15, 2025 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the February 15, 2025 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ
স্বামী-স্ত্রী-সন্তান, দাম্পত্যনামার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্তানলাভের পরেও কি অটুট থাকে দাম্পত্যের রসায়ন? সম্পর্কের ব্যতিক্রমী প্রবাহে কতটা ‘সুখী’ হয় দাম্পত্যজীবন? বোঝার চেষ্টায় অনিকেত গুহ।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।