সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে: চিহ্নিতকরণ আইরিশ ফোটোগ্রাফার নাইজেল সোয়ান প্রায় বছর দশেক হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট শহরে কাটিয়ে, সেই শহরের অলিগলি, নাগরিক জীবনের নানা পরত ক্যামেরাবন্দি করার পর, ২০১৪ সালে জানতে পারেন যে, এই শহরেরই একটি অংশে রয়েছে প্রায় দু'হাজার বাড়ি যেগুলি এক সময় পরিচিত ছিল ‘ইয়েলো স্টার হাউস' নামে। তার মধ্যে ১৬০০টি বাড়িতে বসবাস করলেও এই সব বাড়ির অতীত নিয়ে কথা বলতে চান না বর্তমান বাসিন্দারা। বড় লজ্জার সেই অতীত। বুদাপেস্ট শহরে ১৯৪৪ সালের ২১ জুন থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত এই বাড়িগুলিতে থাকতেন প্রায় দুই লক্ষ কুড়ি হাজার ইহুদি মানুষ। বাড়িগুলির সামনে লাগানো থাকত কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি হলুদ তারা। সেখানের বাসিন্দারা কোথাও গেলে, বিশেষত শহরের অন্য প্রান্তে গেলে পোশাকে লাগিয়ে নিতে হত হলুদ তারা। প্রত্যেক পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি ছোট কুঠুরিসদৃশ বাসস্থান। নাৎসি শাসকেরা এর বেশি কিছু দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি, কারণ শীঘ্রই সেই পরিবারগুলিকে পাঠানো হবে নানা ক্যাম্পে – অনাহার, কঠোর পরিশ্রম, অমানবিক অত্যাচার, পরিশেষে মৃত্যুই হবে তাদের ভবিতব্য। বাড়ির সামনে এবং পোশাকে ঝুলে থাকা হলুদ তারা যেন সেই ভবিতব্যেরই চিহ্ন। ইহুদিদের বসতবাড়িকে নানা ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে জার্মানি, নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসেও। কিন্তু আইন করে, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় বুদাপেস্টে যা করা হয়েছিল তা ইউরোপে ইহুদি নিধনের মর্মন্তুদ ইতিহাসেও বিরল।
Bu hikaye Desh dergisinin August 17, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin August 17, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।