ওয়াশিংটন ডিসি-র প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার হাউস অফ কার্ডস নীতিহীন এক রাজনীতিবিদ ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড আর তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ার এর জমাটি গল্প। ক্লেয়ার আন্ডারউড সেখানে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন; তার আগে অবশ্য তিনি ২০১৭ -য় স্বল্পমেয়াদে কাজ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে, প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউডের আমলে। এমনকি, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কিছু দিন কার্যভার সামলেছিলেন ক্লেয়ার। নেটফ্লিক্সে হাউস অফ কার্ডস দেখানো হয়েছিল ২০১৩-১৮ সময়কালে। শ্বেতাঙ্গ ডেমোক্র্যাট ক্লেয়ার আন্ডারউডের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার এই গল্পের সঞ্চারণকালের মাঝেই বাস্তবে এক শ্বেতাঙ্গ মহিলা রাজনীতিবিদ হোয়াইট হাউস দখলের ভোটে লড়েন ২০১৬-য়। তিনিও ডেমোক্র্যাট এবং এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। পর্দায় ক্লেয়ার আন্ডারউডের চরিত্রটি নির্মাণের পিছনে ওয়াশিংটন ডিসি-র ক্ষমতার অলিন্দে দীর্ঘদিন ঘোরাফেরা করা হিলারি ক্লিন্টনের ছাপ কতটা ছিল সে আলোচনা চলতেই পারে, যদিও এক মহিলার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সেই প্রচেষ্টাটা বাস্তবায়িত হয় না। পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প নামের এক ব্যবসায়ী, টিভি সঞ্চালক, শ্বেতাঙ্গ প্রভুত্বের ধারক-বাহক জিতবেন সেই লড়াইটা। এবং সেই সঙ্গে দুনিয়ার প্রেক্ষিতেও কোনও এক সত্যোত্তর যুগেরও বোধকরি হবে নব-নির্মাণ। এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষিতে তাসের ঘরের প্রসঙ্গ উঠবেই। একে তো আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট ছিল এটা। সেই সঙ্গে আবার একজন মহিলা ছিলেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে। তাঁর অবশ্য রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নেই। এবং তিনি শ্বেতাঙ্গও নন। কিন্তু কমলা হ্যারিসও ছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী। এবং হ্যারিসকে হারিয়ে ৫ নভেম্বরের ভোটে এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন ঘটল ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
Bu hikaye Desh dergisinin November 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin November 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।