আটচল্লিশটি ছোট-বড় প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে রুশতী সেনের প্রবন্ধসংগ্রহ। তাঁর মতো মননশীল প্রাবন্ধিকের লেখার জন্য স্বভাবতই পাঠকের প্রতীক্ষা থাকে। বহুচর্চিত বিষয় তিনি সর্বদাই এড়িয়ে যান। বরাবর আমরা পেয়ে যাই মৌলিক ভাবনার উদ্ভাসন। বিস্মৃতির ধুলো সরিয়ে কোনও লুপ্তরত্নোদ্ধার। ভূমিকায় রুশতী জানিয়েছেন যে-সাহিত্য তাঁর বোধবুদ্ধিমতে গুরুত্বপূর্ণ, অথচ যার বিন্যাসবিশ্লেষণ তুলনায় কম চোখে পড়ে, সেই সব সৃজনের কথা সব সৃজনের কথা নিজেকে আর পাঠককে মনে করাতে চেয়েছেন। তিনটি পর্বে সুবিন্যস্ত রয়েছে প্রবন্ধগুলি। প্রতিটি পর্বের সূচনায় ধরতাই হিসেবে বিখ্যাত কবিতার চয়িত পঙ্ক্তি পাঠককে নীরবে প্রস্তুত করে দেয়। যেমন শেষপর্ব শিশুকিশোর সাহিত্যের আলোচনার আগে স্মরণ করেছেন শঙ্খ ঘোষের কবিতার আক্ষেপ আমার ছিল একলা বসে দুঃখ পাবার মতো অঢেল সময়, ছড়ানো দিনরাত— তোমার দিন যে রুটিন দিয়ে বাঁধছি অবিরত তোমার আমার সেইখানে সংঘাত।
প্রথম পর্বে নরেন্দ্রনাথ মিত্রের চেনামহল প্রসঙ্গে রুশতী মনে করিয়ে দেন, গত সাত দশকে মধ্যবিত্ত বাঙালির সংসারে অনুশাসন আর প্রশ্রয়ের প্রকৃতি বদলে গেলেও, অপচয় আর অসহায়তা বেড়েছে বই কমেনি, কিন্তু চেনামহল লিখতে পারার অনাবৃত দুঃসাহস যথোচিত গুরুত্ব পায়নি। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অন্তরীপ বা হ্যানসেনের অসুখ, হাংরাস এবং অন্যান্য উপন্যাস প্রসঙ্গে আলো ফেলেন বকলমে যেন ঔপন্যাসিকের ক্ষোভ আর আত্মসমালোচনায়—‘আজ বলে
Bu hikaye Desh dergisinin December 17, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin December 17, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।