তুমি আমাকে বাবার কাছে নিয়ে যাবে? নিশ্চয়ই। বাবা আমায় বকবে না? আমায় ফেলে চলে যাবে না? তুমি কে? আমি তোমার বন্ধু।
অপুর সংসার-এর শেষ দৃশ্যের এই সংলাপগুলি কুণাল সেনের বন্ধু বইটির প্রচ্ছদ থেকেই কানে বাজতে থাকে, যে-অনুরণন শেষ পাতায় পৌঁছোনো পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। আমরা সাংস্কৃতিক ভাবে এই দৃশ্যের একটি মিঠে পাঠই করে থাকি, সেটাই আমাদের অবলম্বন। কিন্তু সত্যি বলতে কী, দৃশ্যটি কি অতটাই মিষ্টি? এই দৃশ্যের আগের ক’টি দৃশ্য পর্যন্ত কাজলের অপুর প্রতি প্রতিক্রিয়া ছিল ক্রোধের এবং অবজ্ঞার। ক্রোধই বলছি, ভায়োলেন্সও বলতে পারতাম, কারণ অন্তত দু'টি বস্তু, একটি ঢিল এবং একটি খেলনা রেলগাড়ি, অপুর দিকে নিক্ষেপ করেছিল কাজল। তার এই কয়েক বছরের জীবনে সে জেনেছে যে, অভিভাবকরা শাসন করে, বকে মারে, নয়তো অনুপস্থিত থাকে, ফেলে চলে যায়। ‘বাবা’ মানে এ-ই, এর অন্যথা হতে পারে না— এইটুকু বুঝিয়ে কাজল জিজ্ঞেস করে, তুমি কে?
আমি তোমার বন্ধু— পিতৃত্বের এই পূর্ণসজ্ঞার্থায়ন অপুর এই মাতৃহীন সংসারকে কতটাই-বা শক্ত ভিত দিতে পারবে? পিতা আর সন্তানের মধ্যে যে-সম্পর্ক, তাতে তো পরিবারতন্ত্রের সুস্থিত স্তরান্তরটি ভূতের মতো ফিরে আসতে পারে, যেখানে শাসন ও ক্ষমতা নিয়ামক। তখন বন্ধুত্বের কী হবে? এই
আনস্টেবল ইকুইলিব্রিয়ামের বোধটি কুণাল সেনের তার পিতার স্মৃতিচারণে প্রতি পাতায় থাকে; সে হয়তো সত্যজিতের অপুর সংসার-এর মতো অনিশ্চয়তার বোধ নিয়ে নয়। তার মূল কারণ হয়তো তাদের সংসারের কেন্দ্রে পরপর দু’জন নারীর উপস্থিতি সদাসর্বদা ভরকেন্দ্র হয়ে রয়েছে, গীতা সেনের এবং পরে গীতার সঙ্গে নিশা রুপারেলের (কুণালের স্ত্রী)। পিতার স্থানের পাশেই রয়েছে ‘অনু’ বা জনপ্রিয় অভিনেতা অনুপকুমারের উপস্থিতি, যিনি সম্পর্কে গীতা সেনের ভ্রাতা।
Bu hikaye Desh dergisinin January 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin January 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।