“রামলীলা এদেশের পরর্ নয়’– এটি প্রলয় খোট্টাই। কিছু কাল পূর্ব্বে চানকের সেপাইদের দ্বারা এই রামলীলার সূত্রপাত হয়। পূর্ব্বে তারাই আপনা আপনি চাঁদা করে চানকের মাঠে রামরাবণের যুদ্ধের অভিনয় কত্তো; কিছু দিন এ রকমে চলে, মধ্যে একেবারে রহিত হয়ে যায়। শেষে বড়বাজারের দু চার ধনী খোট্টার উদ্যোগে ১৭৫৭ শকে পুনর্ব্বার “রামলীলা” আরম্ভ হয়। তদবধি এই বারো বৎসর, রামলীলার মেলা চলে আসচে। কলকেতায় আর অন্য কোন মেলা নাই বলেই অনেকে রামলীলায় উপস্থিত হন। এদের মধ্যে নিষ্কর্ম্মা বাবু, মাড়ওয়ারী খোট্টা, বেশ্যা ও বেণেই অধিক।'
প্রিয় পাঠক, আজ থেকে একশো তেষট্টি বছর আগে, ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল হুতোম প্যাঁচার নকশা। রচয়িতা কালীপ্রসন্ন সিংহ। ছদ্মনাম হুতোম। এ হেন গ্রন্থেরই নির্বাচিত অংশ উপরোক্ত পঙ্ক্তিগুলি।
মনস্ক পাঠক কিঞ্চিৎ মনোনিবেশ সহকারে অংশটি পড়লেই বুঝতে পারবেন কী অসম্ভব ব্যঙ্গ, শ্লেষ, রাজনীতি আর কতটা সাহসী উচ্চারণ মিশে রয়েছে। এর প্রতিটি ছত্রে। আজকের এই দমচাপা দুঃসময়কালে লেখা হলে কী পরিমাণ বিতর্ক তুলত এই তীব্র স্যাটায়ার আখ্যানমালা, সেটা আন্দাজ করে নিতে বোধহয় খুব বেশি একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয়। সামাজিক মাধ্যমগুলিতে সর্বাধিক ট্রোল হওয়া ব্যক্তিটির নাম যে অতি অবশ্যই হত কালীপ্রসন্ন সিংহ ওরফে হুতোম, সে-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কে বলতে পারে গোবিন্দ পানেসর, কালবুর্গি, গৌরী লঙ্কেশের মতো একই পরিণতি তাঁর জন্য অপেক্ষা করে থাকত কি না? হুতোম প্যাঁচার নকশা প্রকাশিত হওয়ার ঠিক কুড়ি বছর পরে বঙ্গভূমে জন্ম হয় শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের। বঙ্গসমাজে যিনি অধিকতর পরিচিত ছিলেন ‘দাদাঠাকুর' নামে। ছড়া, প্রবন্ধে শাণিত তরবারির মতো তাঁর কলম ব্যঙ্গ
আর শেষে ফালাফালা করতে থাকে সমস্তরকম সামাজিক একইসঙ্গে রাজনৈতিক অব্যবস্থা আর দুর্নীতিকে। আগাগোড়া তাঁরই তত্ত্বাবধানে নিয়মিত প্রকাশিত একটি চটি বই বোতল পুরাণ আক্ষরিক অর্থেই সম্ভবত বাংলার প্রথম লিটল ম্যাগাজিন। আসুন, এবার এই বোতল পুরাণের দু'চার ফোঁটা নমুনা চাখা যাক— আমি ভোটের লাগিয়া ভিখারী সাজিনু ফিরিনু গো দ্বারে দ্বারে আমি ভিখারী না শিকারী গো আমায় আসল কেউ না বলিল না ক্যানভাস করিলাম যারে সব হাঁ ক'রে যে রইল...
Bu hikaye Desh dergisinin May 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin May 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।