জগদম্বা পুরকায়স্থ শহরের একজন নামজাদা ক্রিমিনাল লইয়ার। কোনও কেস চলাকালীন মিস পুরকায়স্থর নামে পুলিশ তো বটেই, বিচারকরাও যেন তটস্থ হয়ে থাকেন। ক্লাবে, পার্টিতে রঙিন জলের ফোয়ারা ছোটানোর সময়ও তাঁদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন জগদম্বা।
কোনও বিচারকের এজলাসে জগদম্বার কেস পড়লে, আগের দিন রাতে সেই বিচারকের ঘুম হয় না এই ভেবে যে, মিস পুরকায়স্থ তাঁকেই না কোনও প্যাঁচে ফেলে দেন। মিস পুরকায়স্থ যখন ভরা আদালতে গমগমে স্বরে সওয়াল করেন, সেখানে পিন পতনের শব্দ শোনা যায় না। পাবলিক প্রসিকিউটর পর্যন্ত জগদম্বার বক্তব্যে অবজেকশন করার আগে দু'বার ভাবেন। জগদম্বা কেস লড়লে ডাকসাইটে পুলিশ অফিসার নিজের তৈরি করা চার্জশিটের উপর মোটে ভরসা রাখতে পারেন না। একশোবার করে মিলিয়ে দেখেন কোথাও ফাঁক রয়ে গেল না তো! ছোটো সুচের মতো ছিদ্র পেলেও মিস পুরকায়স্থ তার মধ্য দিয়ে ফাল হয়ে বেরোবেন, সে কথা সকলেই এত দিনে জেনে গেছে। তাই কেউ তাঁকে ঘাঁটায় না।
এ-হেন জগদম্বা যে ঊনচল্লিশ বছর তিন মাস বাইশ দিন বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, এমন ভাবনা কারও সুদূর কল্পনাতেও আসেনি। আর সেটা অবশ্যই অকারণে নয়। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে হলে গোড়া থেকে শুরু করতে হয়। না হলে আধুনিকা পাঠিকা ভুরু কোঁচকাতেই পারেন। বলতেই পারেন, ঊনচল্লিশ বছর কী এমন বয়স? আর বিয়ে করাটাই জীবনের একমাত্র মোক্ষ নাকি? বিয়ে মানেই তো হাতে বেড়ি, পায়ে বেড়ি। তাই বিয়ে করে হেঁশেল ঠেলার চেয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচা অনেক ভাল।
স এ সব কথা সকলের জানা। কারণ, জগদম্বা পুরকায়স্থ নিজেও তিন মাস আগে পর্যন্ত এ সব কথা বলে এসেছেন। নারী কল্যাণ সমিতির অনুষ্ঠানে তাঁর অগ্নিগর্ভ ভাষণ শুনে তিনজন মেয়ে তাদের ঠিক হওয়া বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। বিয়ের সমস্ত কুফল একদম পয়েন্ট ধরে ধরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাতেই তো আরও দু'জনের তাদের প্রেমিকের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আর মিসেস মজুমদার তো বরের আগেনস্টে ডিভোর্স কেস ফাইল করে বসে আছেন। আর সেই কেস তাঁর স্বামীই আদালতে লড়বেন। কারণ, মিস্টার মজুমদার এ শহরের
সবচেয়ে ভাল ডিভোর্স লইয়ার, সেটা কে না জানে! মিসেস মজুমদারের সোজা হিসেব। যতক্ষণ না ডিভোর্স হয়, ততক্ষণ তো মিস্টার মজুমদার তাঁর বর। সুতরাং ঘরে উকিল থাকতে বাইরের লোকের পকেট ভরবেন কেন শুধুমুধু!
Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।