ছদ্মনাম ব্যবহার করেন অনেক লেখকই। লেখকের মৌলিক অধিকার আছে ছদ্মনাম ব্যবহার করার। কালকূট, নীললোহিত, শ্রীপান্থ, পরশুরাম, যাযাবর — কত ছদ্মনাম আমরা জানি, এবং নামের পিছনে যেলেখকরা আছেন, তাঁদের নামও অজানা নয়। কিন্তু যদি এমন হয় যে, লেখককে কোনও দিনই চেনা গেল না?
লন্ডনের সেসিল কোর্টে বইপ্রেমীদের স্বর্গোদ্যান—সেখানে একগুচ্ছ পুরনো বইয়ের দোকানের একটাতে পেলাম একটা বই, ‘নাইট ভিজিটর অ্যান্ড আদার স্টোরিজ়'। প্রথম সংস্করণ। লেখক বি ট্র্যাভেন। দাম মাত্র কুড়ি পাউন্ড। মধ্য লন্ডনের ওই সব দোকানে এ দামে ছেঁড়া খাতাও পাওয়া যায় না। ভারি পাশ গলায় পরামর্শ দিলেন, “নিয়ে যান, এই দামে ট্র্যাভেনের প্রথম সংস্করণ পাওয়া যায় না— অতি সস্তায় পাচ্ছেন।” ট্র্যাভেনের নাম শুনিনি শুনে দোকানদারের প্রায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড়। “সে কী! সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় লেখকের নাম শোনেননি?” জীবনের প্রায় অষ্ট আনাই ফাঁকি বুঝে কিছুটা লজ্জায় পড়েই কিনে ফেললাম। একটু আন্তর্জাল ঘেঁটে দেখলাম বারোটা অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাস এবং গুচ্ছের ছোটগল্প লিখেছেন তিনি; ‘ডেথ শিপ', ‘নাইট ভিজিটর’, ‘ট্রেজ়ার অফ সিয়েরা মাদ্রে'এক-একটা বই লক্ষাধিক কপি বিক্রি হয়েছে। তাঁর নাম বি ট্র্যাভেন, বা ব্রুনো ট্র্যাভেন – সেটা যে ছদ্মনাম তাতে কারও সন্দেহ নেই। তাঁর সম্বন্ধে যেটুকু জানা যায় তা হল তিনি জার্মান, থাকতেন মেক্সিকোতে। পাণ্ডুলিপি পৌঁছোত তাঁর এজেন্টের কাছে মেক্সিকোর ঠিকানা থেকে।
যা পাওনাগন্ডা, সব মেক্সিকোর এক পোস্ট বক্সে জমা হত। বইয়ের কপিরাইট পাতায় লেখা থাকত ‘বি ট্র্যাভেন, মেক্সিকো'। তাঁর লেখাপত্র পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে, খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়ে। তাঁর লেখা অসম্ভব গতিময়, অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সে সময় প্রচণ্ড জনপ্রিয়। গেরিলা যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতক, গুপ্তচর, এদের নিয়ে লেখা এইসব বিপ্লবের থ্রিলার গল্প। তাঁর লেখা ‘দ্য ট্রেজ়ার অফ সিয়েরা মাদ্রে' সিনেমা হয় এবং তিন-তিনটে অস্কার পুরস্কার পায়।
Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।